প্রায় সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মাহবুব রানা নামের এক ব্যবসায়ী।
বুধবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরীফ উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করা হয়।
মামলায় সালমান এফ রহমানের ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান এবং ছেলে শায়ন এফ রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মাহবুব রানা বাংলাদেশ নন প্যাকার ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ উল আমিন মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী মাহবুব রানার প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণা এবং হুমকির অভিযোগে সালমান এফ রহমান, তার ভাই ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ডিবিকে (গোয়েন্দা পুলিশ) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১০ সালে আসামিদের মালিকানাধীন জিএমজি এয়ারলাইন্সের প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনার জন্য পে-অর্ডারমূলে ২৫ লাখ টাকা জিএমজি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে দেন মামলার বাদী ব্যবসায়ী মাহবুব রানা। ওই বছরের ২০ মে মাহবুব রানাকে শেয়ার সার্টিফিকেট দেয় জিএমজি এয়ারলাইন্স। কিন্তু প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির টাকা গ্রহণ করলেও পরে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে তালিকাভুক্ত না হয়ে জিএমজি এয়ারলাইন্স গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা আত্মসাৎ করে।
একই কায়দায় ব্যবসায়ী মাহবুব রানার কাছ থেকে নেওয়া ২৫ লাখ টাকাও আত্মসাৎ করা হয়। তাতে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল থেকে মামলার দিন পর্যন্ত ১৪ বছরে সুদাসলে ক্ষতিপূরণসহ এক কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৩৬ টাকা আসামিদের কাছ থেকে ব্যবসায়ী মাহবুব রানা প্রাপ্য হন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ জুলাই সালমান এফ রহমানের কাছে পাওনা টাকা দাবি করেন মাহবুব রানা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২ আগস্ট মাহবুব রানাকে দেখা করতে বলেন আসামিরা। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মোবাইলে পাওনা টাকা চাইলে ব্যবসায়ী মাহবুব রানাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বাদী মাহবুব রানা জাগো নিউজকে বলেন, ২০১০ সালে জিএমজি এয়ারলাইন্সের প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির কথা বলে ২৫ লাখ টাকা নেয় জিএমজি এয়ারলাইন্স। ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক সালমান এফ রহমান, সোহেল এফ রহমান এবং শায়ন এফ রহমান। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় সালমান এফ রহমান সরকারের প্রভাবশালী হওয়ার কারণে টাকা চাইলেও নিজের ক্ষতির আশঙ্কায় আমার টাকাগুলো আদায় করতে পারিনি। চলতি বছরের আগস্টে পাওনা টাকা চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। যে কারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
এমডিআইএইচ/ইএ