Site icon Amra Moulvibazari

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া


প্রেম-ভালোবাসা অর্থাৎ রোমান্টিক জীবন ও যৌন সম্পর্ক নিয়ে পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে কম সন্তুষ্ট জাতি জাপানিরা। এ তালিকায় জাপানের পরপরই আছে দক্ষিণ কোরিয়া। ফরাসি গবেষণা সংস্থা ইপসোসর একটি বৈশ্বিক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে উঠেছে।

সম্প্রতি ৩১টি দেশের মানুষের যৌনজীবন এবং রোমান্টিক সম্পর্ক নিয়ে সমীক্ষাটি চালায় ইপসোস। চলতি সপ্তাহেই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে সংস্থাটি। তাতে দেখা গেছে, জাপানি উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা যৌনতা থেকে সন্তুষ্টি অর্জন করেন।

একইভাবে জাপানের চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকলেও যৌনতা ও প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা গেছে। দেশটির মাত্র ৪৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা যৌন সম্পর্কে তৃপ্ত হন।

সমীক্ষাটিতে যৌনতা থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ভারত ও মেক্সিকোর মানুষ। দুটি দেশেরই যৌনতা ও প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সন্তুষ্টি দেখানো মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৬ শতাংশ।

এদিকে, জাপানি ও কোরীয়দের কর্মমুখী ও আবেগহীন জীবন ক্রমেই দেশ দুটির জনসংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমিয়ে দিয়েছে। উভয় দেশই এমন পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক মনে করছে।

গত জুনে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটির জন্মহারকে ‘সংকটজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ, গত বছরের হিসেবে দেশটিতে জন্মহার ছিল মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। টানা আট বছর ধরে জন্মহার কমতে কমতে এটি রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল।

তবে প্রেমবিমুখ মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও জন্মহারে দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে এখনো এগিয়ে জাপান। জন্মহারের দিক দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন- মাত্র ০ দশমিক ৭২ শতাংশ।

ইপসোসের সমীক্ষায় এটাও দেখা গেছে, সঙ্গী কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতায় সবচেয়ে কম তৃপ্তি অনুভব করেন কোরীয়রা। এক্ষেত্রে জাপানিরা ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।

জীবনে কতটা প্রেম-ভালোবাসা অনুভব করেন- এমন প্রশ্নে জাপানিরাই ছিল সবার নিচে। দেশটির মাত্র ৫১ শতাংশ মানুষ এক্ষেত্রে ইতিবাচক অর্থাৎ জীবনে প্রেমের প্রয়োজন অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন।

ইপসোস বলছে, জাপানিদের ব্যক্তিত্বই তাদের যৌনতা ও প্রেম-ভালোবাসায় প্রভাব ফেলেছে। কারণ, দেশটির মানুষ রোমান্সের ক্ষেত্রে খুব বেশি আবেগ ও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না।

বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজধানী টোকিওতে একটি ডেটিং অ্যাপ চালু করেছে জাপানি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দেশজুড়ে দম্পতিদের জন্য প্রণোদনাসহ আরও নানা পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে তারা। এরপরও জন্মহার বাড়াতে পারছে না দেশটি।

সূত্র: এএফপি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version