মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটে জড়িতদের ‘কালো তালিকা’ করা হবে। সরকারি কর্মকর্তা, এজেন্ট এবং যেসব কোম্পানির মালিক এসব অবৈধ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরে অভিবাসী শ্রমিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১২তম যৌথ কমিটির বৈঠক শেষে মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া কিনির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কিছু কোম্পানির মালিক প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অভিবাসী শ্রমিকের জন্য কোটা সংগ্রহ করে কয়েক মিলিয়ন রিঙ্গিত উপার্জন করছে। আর এসব সিন্ডিকেটে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত’। যদি কারো কাছে সিন্ডিকেট পরিচালনার তথ্য থাকে, তবে মন্ত্রণালয়ে জানানোর জন্যও বলেন মন্ত্রী। তথ্য প্রমাণিত হলে, সেই কোম্পানির মালিক এবং ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ীভাবে কালো তালিকা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এসব ঘটনায় শুধু সরকারি কর্মকর্তা এবং এজেন্ট নয়, কোম্পানির মালিকরাও জড়িত’। আমরা সবাইকে সতর্ক করছি, এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। অভিবাসী শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকার এ বিষয়ে আরও কঠোর হবে।
মালয়েশিয়া কিনির তথ্যমতে, ১৯৯৬ সাল থেকে এই সিন্ডিকেটটি সক্রিয় রয়েছে এবং আংশিক কিছু আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তার যোগসাজশের কারণে এটি দমন করা সম্ভব হয়নি।
‘সিন্ডিকেটটির উদ্দেশ্য কোটা বিক্রি এবং শ্রমিকদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান ভিজিট পাস (পিএলকেএস) রিনিউ করে প্রতি বছর অবৈধভাবে লাখ লাখ রিঙ্গিত আয় করে।’
এমআরএম/জেআইএম
স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা
পাঠানোর ঠিকানা –
[email protected]