মিশরের কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘প্রিয় মালতী’ নিয়ে হাজির হয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তার সঙ্গে আছেন পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত আর দুই প্রযোজক আদনান আল রাজীব ও মো. হাবিবুর রহমান তারেক।
কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হলো মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে পুরোনো বৈশ্বিক চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসবে এবার প্রদর্শিত হচ্ছে ৭২টি দেশের মোট ১৯০টি সিনেমা। ১৩ নভেম্বর থেকে ২২শে নভেম্বর পর্যন্ত চলা উৎসবে থাকবে ৩০টির ও বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
অভিনেত্রী মেহজাবীন জানান, কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিয় মালতী চলচ্চিত্রটি নির্বাচিত হয়েছে এবং প্রিমিয়ার শোতে মিশরীয়দের মাঝে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছে। দর্শকরা শো শেষ করে এসে অনেকেই সেভেন আউট অফ টেন দিচ্ছেন আবার কেউ ফাইভ আউট অফ টেন দিচ্ছেন। কেউবা উপস্থিত দর্শকদের মধ্য থেকে বলছেন, যে আপনাদের দেশের গল্প আর আমাদের দেশের গল্প প্রায় কাছাকাছি। এ ধরনের ঘটনা আপনাদের ওখানেও ঘটে তা ভেবে আমরা খুব দুঃখ অনুভব করছি। উপস্থিত দর্শকদের সরাসরি রিভিউ দেওয়ায় মুগ্ধ হয়েছেন এই অভিনেত্রী।
তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছে ছিল বাবা মাকে নিয়ে মিশর ভ্রমণে আসার। কিন্তু নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মিশরে আসতে হবে তা কখনো কল্পনাও করিনি।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের রিয়েল একটা ঘটনার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে এবং সেটার বাস্তব উপলব্ধিটা সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য একটা গর্বের বিষয়।
হাসতে হাসতে অভিনেত্রী সাংবাদিকদের জানান, আপনাদের জন্য খুশির সংবাদ হচ্ছে এই, ‘প্রিয় মালতী’ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে এবং অতি শিগগিরই গোয়া’র উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। তাই, আপনাদের দোয়া ও শুভ কামনা প্রয়োজন।
পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত জানিয়েছেন, কায়রোতে ‘প্রিয় মালতী’র চারটি প্রদর্শনী রয়েছে। এরমধ্যে দুটিতে থাকবেন উৎসবে আসা দর্শকরা। এছাড়া সাংবাদিক ও বিচারকদের জন্য ১টি করে প্রদর্শনী হবে। প্রতিটির শুরু ও শেষে থাকবে আমাদের আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।
কায়রো চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি লড়বে ‘গোল্ডেন পিরামিড’ পুরস্কারের জন্য। ‘প্রিয় মালতী’ ছাড়াও এ বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৫টির মতো পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম দেখা গেছে।
এমআরএম/এএসএম
স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা
পাঠানোর ঠিকানা –
[email protected]