Site icon Amra Moulvibazari

১৬ জেলার কৃষকের ভাগ্যে শুধুই বঞ্চনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের পোয়াবারো

১৬ জেলার কৃষকের ভাগ্যে শুধুই বঞ্চনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের পোয়াবারো


 

• উত্তরের প্রান্তিক কৃষকদের স্বপ্নভঙ্গ, প্রভাবশালীদের কব্জায় গ্রোয়ার্স প্রকল্প
• তদারকির অভাব এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে ভেস্তে গেছে বিনিয়োগ
• কৃষি উন্নয়ন ও অর্থনীতির জন্য হতাশাজনক চিত্র বলেছেন বিশেষজ্ঞরা

প্রায় দেড় দশক আগে গ্রামীণ কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এবং সরাসরি পাইকারদের সঙ্গে যুক্ত করতে চালু হয় বগুড়াসহ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার গ্রোয়ার্স মার্কেট। উত্তর-পশ্চিম শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের (এনসিডিপি) আওতায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে স্থাপিত হয় এই বাজার। কৃষক, বিশেষ করে নারী কৃষকদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে নির্মিত এ বাজারের অধিকাংশই এখন অকার্যকর হয়ে আছে। বাস্তবে এর সুবিধা নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা। এ উদ্যোগে কৃষক সুফল না পেয়ে উল্টো উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

পর্যাপ্ত তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা বাজার দখল নিতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের প্রভাবে প্রকল্পের উদ্দেশ্য শুধু সাইনবোর্ডে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগী হওয়ার কথা যাদের, সেই কৃষকরা এখনো তাদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাজারগুলোতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ, গ্রেডিং, ওয়াশিং ইউনিট, লোডিং এবং স্টোরেজের ব্যবস্থা ছিল, যা সরাসরি কৃষকদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এসব সুবিধা রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীদের দখলে। তাদের প্রভাব এত প্রবল যে, প্রকল্পটির সুবিধাভোগী কৃষকরা এসব সুবিধা পেতে পারছেন না।

প্রকল্পের লক্ষ্য এবং বাস্তব চিত্রের ভিন্নতা: কৃষকদের আর্থিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বগুড়ার চারটি গ্রোয়ার্স মার্কেট তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্য জেলাগুলোর জন্য আরও ৫৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার এই প্রকল্পে সহযোগিতা করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। প্যাকিং হাউজ, গ্রেডিং, ওয়াশিং ইউনিট, লোডিং ও আনলোডিং এলাকার মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ বাজারগুলো কৃষকদের জন্য নির্মাণ করা হয়।

কৃষকের বাজারে কাপড়ের দোকান-ছবি জাগো নিউজ

বগুড়ার মহাস্থান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকল্পের উদ্দেশ্য অনুযায়ী কৃষকরা এই বাজারগুলোতে পণ্য বিক্রির সুবিধা পাচ্ছেন না। বরং স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীদের দখলে থাকায়, প্রকল্পের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।

মহাস্থান খুচরা বাজার ও শেরপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) এলাকার পাইকারি বাজারে এমন অনেক কৃষক অভিযোগ করেছেন যে, তারা কোনো সুযোগ না পেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হন। আরডিএ’র বাজারে শেডের ভেতরে দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে রুবেল মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে। তিনি সবজির বাজারের মধ্যে ফার্মেসির দোকান দিয়েছেন।

গ্রোয়ার্স মার্কেট প্রকল্পের কার্যক্রম তদারকির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় নির্মিত এসব বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওপর। কিন্তু পর্যাপ্ত তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা বাজারগুলোর দখল নিতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের প্রভাবে প্রকল্পের উদ্দেশ্য শুধু সাইনবোর্ডে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগী হওয়ার কথা যাদের, সেই কৃষকরা এখনো তাদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত।

বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের এই মার্কেটটি দেখাশোনা করেন না। বিগত এক যুগেও স্বশরীরে কেউ আসেনি। কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হয় না। এ কারণে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে দিনে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়ায় অস্থায়ী দোকানগুলো বসতে দেওয়া হয়েছে।

মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট এবং নারীদের অংশগ্রহণের অভাব: প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য ছিল নারীর ক্ষমতায়ন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি, যা বাস্তবায়িত হয়নি। বেশিরভাগ বাজারেই নারীদের জন্য বরাদ্দ করা বিশেষ কর্নারগুলো বছরের পর বছর বন্ধ পড়ে আছে। মহাস্থান খুচরা বাজারের তত্ত্বাবধায়ক আইনুল হক জানান, এখানে নারীদের কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম নেই, যদিও এই প্রকল্পে নারীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আলাদা স্থান বরাদ্দ ছিল। দেখা গেছে, এখানে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য এতটাই প্রবল যে নারীরা তো দূরের কথা, সাধারণ কৃষকরাও কোনো সুবিধা নিতে পারছেন না। এই বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন কয়েকজন প্রভাবশালী, যারা মূলত স্থানীয় কৃষকদের পণ্য সংরক্ষণের সুবিধা নিজেদের জন্য ব্যবহার করেন। এরা হলেন আবুল হোসেন, সোহাগ হোসেন, আমিনুল ইসলাম ও আবু তালেব। এরা মূলত সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী পাইকার। সেখানকার সবজি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে পাইকারি বিক্রি করেন। অথচ এই স্থানেই সরাসরি কৃষকের পণ্য বিক্রি করার কথা ছিল। পাশেই নারী কর্নারের নির্ধারিত জায়গাটি তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। ট্রেনিং সেন্টার ও স্টোরেজ রুমটি তত্ত্বাবধায়ক তার খেয়াল খুশিমতো ব্যবহার করেন।

গ্রোয়ার্স মার্কেটের প্রকল্পটি সফল করতে প্রয়োজন যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা এবং মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের প্রভাবমুক্ত বাজার ব্যবস্থা। স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকৃত কৃষকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। প্রকল্পে বিনিয়োগের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রয়োজনীয় নজরদারি অত্যন্ত জরুরি।

সাধারণ কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন বাজারে পরিচালনা কমিটির নিষ্ক্রিয়তা ও জেলা বাজার কর্মকর্তার তদারকির অভাবের কারণে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

স্থানীয় কৃষক ফজলু মিয়া জানান, বাজারগুলোতে কৃষকদের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে তারা কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এই বাজারগুলোতে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো নেই প্রান্তিক কৃষক। বগুড়ার মহাস্থানসহ বাকি চারটি বাজারের অবস্থাও একই।

নারীরা বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন-ছবি জাগো নিউজ

অচলাবস্থা ও প্রত্যাশার ভিন্ন চিত্র: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ৭৬টি বাজারের মধ্যে বেশিরভাগই বর্তমানে প্রভাবশালীদের দখলে। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাইকারি সবজি বাজারটি এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রোয়ার্স মার্কেটগুলোরও একই অবস্থা, যেখানে মূলত মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা পুরো বাজার দখল করে রেখেছেন।

দিনাজপুরের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান দখল হয়ে যাওয়ায় তারা বাধ্য হচ্ছেন কম দামে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে।

রংপুর বিভাগের বেশিরভাগ বাজার কার্যত স্থবির অবস্থায় পড়ে থাকলেও, জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দাবি করেন যে অনেক বাজার এখনো চালু আছে। তবে, প্রান্তিক কৃষকরা এই সুবিধা পুরোপুরি পাচ্ছেন না। জয়পুরহাটের কালাই ও নওগাঁর মান্দায় এই প্রকল্পের স্থানগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছেন, যেখানে নিয়মিতভাবে অনিয়ম চলছে।

কৃষি বিপণন কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রকল্পের পরিকল্পনা ভালো থাকলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তদারকির অভাব এবং স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ এ প্রকল্পের সফলতা হ্রাস করেছে।

রংপুরের সহকারী পরিচালক শাকিল আকতার বলেন, বর্তমানে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্য একই বাজারে পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তাই অনেকে এই বাজারগুলো ব্যবহার করছেন না। ভবিষ্যতে প্রকল্পটির কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে কৃষকদের সক্রিয়ভাবে বাজারে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

বাজারের বর্তমান দৃশ্য-ছবি জাগো নিউজ

নারীর ক্ষমতায়ন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্য ব্যর্থ: প্রকল্পটির একটি বড় লক্ষ্য ছিল নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। নারী উদ্যোক্তা তৈরি এবং তাদের জন্য বিশেষ কর্নার নির্মাণের ব্যবস্থা ছিল এই বাজারগুলোর মধ্যে। অথচ বাস্তবে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো সীমিত।

মহাস্থান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, নারীদের জন্য বরাদ্দ কর্নারগুলো বছরের পর বছর বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এই অংশে কোনো নারীর উপস্থিতি নেই। প্রান্তিক নারী কৃষকদের জন্য যে সহযোগিতা ও সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি ছিল, তা আজও কার্যকর হয়নি।

মমতা বেগম নামের একজন কৃষানি বলেন, বাজারে গিয়ে কোনো সুবিধা পাই না। অনেকেই আমাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে দখল করে রেখেছে, ফলে আমাদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা যায় না।

তদারকির অভাব: গ্রোয়ার্স মার্কেট প্রকল্পের কার্যক্রম তদারকির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় নির্মিত এসব বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওপর। কিন্তু পর্যাপ্ত তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা বাজারগুলোর দখল নিতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের প্রভাবে প্রকল্পের উদ্দেশ্য শুধু সাইনবোর্ডে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগী হওয়ার কথা যাদের, সেই কৃষকরা এখনো তাদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত। এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাজারগুলোতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ, গ্রেডিং, ওয়াশিং ইউনিট, লোডিং এবং স্টোরেজের ব্যবস্থা ছিল, যা সরাসরি কৃষকদের জন্য ব্যবহার হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এসব সুবিধা রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীদের দখলে। তাদের প্রভাব এত প্রবল যে, প্রকল্পটির সুবিধাভোগী কৃষকরা এসব সুবিধা পেতে পারছেন না।

এলজিইডি বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুস হোসেন বিশ্বাস জানান, প্রকল্পটি অনেক আগে নেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি সম্পর্কে তার সঠিক ধারণা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

শেরপুরের একটি গ্রোয়ার্স মার্কেট-ছবি জাগো নিউজ

আর কৃষি বিপণন বিভাগের বাজার ও মাঠ কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, আমরা প্রতিটি বাজারে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু জনবল স্বল্পতার কারণে সেটি সম্ভব হয় না। বিষয়টি এখন গুরুত্ব সহকারে মনিটরিং করা হবে।

সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) সম্পাদক কেজিএম ফারুক বলেন, গ্রোয়ার্স মার্কেটের প্রকল্পটি সফল করতে প্রয়োজন যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা এবং মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের প্রভাবমুক্ত বাজার ব্যবস্থা। স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকৃত কৃষকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। প্রকল্পে বিনিয়োগের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রয়োজনীয় নজরদারি অত্যন্ত জরুরি।

এলবি/এসএইচএস/জিকেএস

Exit mobile version