Site icon Amra Moulvibazari

জলবায়ু ন্যায়বিচার ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জন চায় বাংলাদেশ

জলবায়ু ন্যায়বিচার ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জন চায় বাংলাদেশ


জলবায়ু ন্যায়বিচার ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ২০৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি। 

তিনি বলেন, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্য পূরণে উন্নত দেশগুলোকে দ্রুত নির্গমন হ্রাসে উদ্যোগী হতে হবে এবং প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে প্রাক-২০৩০ উচ্চাভিলাষবিষয়ক বার্ষিক উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কীভাবে প্রতিদিন জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতায মোকাবিলা করছে, তা তুলে ধরে তিনি সমন্বিত বৈশ্বিক উদ্যোগের ওপর জোর দেন।

তিনি বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে বলেন, এ বছর দুটি ভয়াবহ বন্যা বাংলাদেশে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি করেছে, যা জাতীয় বাজেটের ১ দশমিক ৮ শতাংশের সমান। গত ১৮ মাসে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ১৫টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটিতে। এর মধ্যে ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায়। বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ হলেও দেশটি চরমক্ষতির শিকার।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২২ শতাংশ নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ২৭ মিলিয়ন টন নির্গমন শর্তহীনভাবে এবং ৬১ মিলিয়ন টন শর্তসাপেক্ষে কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজস্ব তহবিল এবং ১৩৫ বিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক সহায়তা।

জলবায়ু ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে উন্নত দেশগুলোকে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) শক্তিশালী করতে হবে, বাজার পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে এবং উচ্চমানের জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে- যোগ করেন এ উপদেষ্টা।

পরে রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ‘ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ মূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির জন্য বৈশ্বিক কার্যকরী ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অন্য এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা নেপালের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আইন বাহাদুর শাহী ঠাকুরীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলার প্রশমন, অভিযোজন ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পরিবেশমন্ত্রী জানান, নেপাল বাংলাদেশকে আরও জলবিদ্যুৎ দিতে আগ্রহী। লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি।

আরএএস/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version