কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল হোসেনের (৫৮) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৪ আমলি আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) কাইমুল হক রিংকু জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তোফায়েল উপজেলার বুসয়ারা গ্রামের মৃত আম্বর আলীর ছেলে। তিনি চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তার চাচা মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক এমপি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেলমন্ত্রী।
পিপি কাইমুল হক রিংকু বলেন, বাসে পেট্রোলবোমা মেরে আটজন নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি তোফায়েল হোসেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায, ২০১৫ সালে ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় ওই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ বিএনপি-জামায়াতের ৬৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার।
তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ১১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আবু বকর সিদ্দীকের আদালতে মামলা করেন বাসের মালিক আবুল খায়ের। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এবং একাধিক পুলিশ সদস্যসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জিকেএস