সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে চলমান অনশন ও অবরোধ কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো একদিনে শেষ হয় না। তিতুমীর কলেজের ভাই-বোনদের বলবো- আপনারা শান্ত হোন। আপনাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা হবে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এটিরও আশু সমাধান হবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালী লেভেলক্রসিং এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে সচিবালয়ে যান। বিকেল ৪টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
তবে বৈঠকে দাবি পূরণে আশ্বাস না পাওয়ায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিনিধিদলটি সচিবালয়ের করিডোরে বসে আমরণ অনশন শুরু করেন। এ খবরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিতুমীর কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে ফের সড়ক অবরোধ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, দু-একটি কারখানা ছাড়া অন্য কোনো পোশাক কারখানায় অস্থিরতা নেই। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে। গত মাসে ২১ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।
সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে টিআইবির দেওয়া প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালে রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সরকারের উদ্যোগের কারণে ডিমের দাম কমেছে। অন্যান্য দ্রব্যের দামও নিম্নমুখী। গত বছর কাঁচা মরিচের দাম ১২শ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। আমাদের চেষ্টার অন্ত নেই।
তিনি বলেন, আমরা দেখলাম দুটি পত্রিকায় আলুর দাম চারশ টাকা দেখানো হয়েছে। এমন একটা তথ্য দিচ্ছে মনে হচ্ছে মূল আলুর দামই চারশ টাকা। এটা খণ্ডিত চিত্র। মিসলিডিং প্রতিবেদন।
সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়ে সরকার সচেতন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, পুলিশের দেওয়া অপরাধ পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে আইনশৃঙ্খলার ভালো উন্নতি হয়েছে। আমরা মনে করি, দেশের আইনশৃঙ্খলা ভালোর দিকে যাচ্ছে।
প্রশাসনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের আমরা যোগ্য মনে করছি, যারা কাজগুলো করতে পারেবেন, প্রশাসনে ডায়নামিজম আনতে পারবেন তাদের নেওয়া হচ্ছে। যাদের নেওয়া হচ্ছে তাদের ভালো ট্র্যাক রেকর্ড আছে।
এমওএস/এমকেআর/জিকেএস