Site icon Amra Moulvibazari

গাঁটের যন্ত্রণায় ভুগছেন? ঘরোয়া যে উপায়ে মিলবে স্বস্তি

গাঁটের যন্ত্রণায় ভুগছেন? ঘরোয়া যে উপায়ে মিলবে স্বস্তি


শরীরের বিভিন্ন অংশে জয়েন্টে বা গাঁটে ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। শুধু বয়ষ্করাই নয়, বর্তমানে প্রায় সব বয়সীদের মধ্যেই দেখা যায় এ সমস্যা। মূলত হাঁটু, কোমর, ঘাড়, পায়ের নীচের দিকে যন্ত্রণা হলে তাকে জয়েন্ট পেইন বা গাঁটের যন্ত্রণা বলে।

এক্ষেত্রে গাঁটের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন হলে তা দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী-

বরফ সেঁক দিন

গাঁটে ব্যথা হলে যে অংশে হচ্ছে সেখানে আইস প্যাক বা বরফ সেঁক দিতে হবে। তাহলে আরাম পাবেন। বর্তমানে চিকিৎসকরাও গরম সেঁকের পরিবর্তে বরফ সেঁক বা আইস প্যাক ব্যবহার করতে বলেন। তবে এই অভ্যাস করার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া জরুরি।

শরীরচর্চা করুন

নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে জয়েন্ট পেইন দূর করার জন্য। তবে শারীরিক ক্ষমতার বেশি শরীরচর্চা করা উচিত নয়। জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করলে অবশ্যই প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ভারী জিনিসপত্র ওঠাবেন না

গাঁটে ব্যথার সমস্যা থাকলে বেশি ওজন ও ভারী জিনিসপত্র টানবেন না। তাহলে বিপদ বাড়বে। সিঁড়িতে ওঠানামার বিষয়েও সতর্ক হতে হবে, দরকার না হলে সিঁড়ি ভাঙবেন না। বিশেষ করে যাঁদের হাঁটুর সমস্যা আছে কিংবা ব্যথা অনুভব করেন তারা হাঁটাচলার বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

জয়েন্ট পেইন কমানোর জন্য ওজন কমানো জরুরি। কারণ ওজন যত বেশি হবে, বিভিন্ন গাঁট বা জয়েন্ট অংশে তত বেশি চাপ পড়বে। তাই খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিয়ে, শরীরচর্চা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্রাম নিন

গাঁটের ব্যথা হলে শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। না হলে যন্ত্রণা আরও বাড়বে। তাই হাতে-পায়ে যন্ত্রণা হলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর নিজেকে যতটা সম্ভব ভারী কাজ করার থেকে বিরত রাখুন।

গাঁটের ব্যথা কমানোর জন্য অনেকেই নিজে নিজে ওষুধ খান। ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোনো ওষুধ খাবেন না। নিজের ইচ্ছেমতো ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে বয়স হলে অতি অবশ্যই বিকল হবে কিডনি। আরও একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সূত্র: এবিপি লাইভ

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version