লালমনিরহাটে অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ভোর থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো রাস্তাঘাট। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
গত দুদিন থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে এ জনপদে। মহাসড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু ও বয়ষ্ক রোগীর সংখ্যা।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা ছিল। কুয়াশার কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগেও ছিল ভ্যাপসা গরম। আর এখন প্রকৃতিতে ঋতুবদলের আয়োজন। এরপর শীতকাল আসবে। কিন্তু এখনই প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোরে কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টি পড়ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে ঠান্ডার প্রভাব বাড়বে।
হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়ার ভ্যানচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত দুদিন থেকে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডাও বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীর সংখ্যাও কম।
হাতীবান্ধা উপজেলার প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন, প্রতি বছর এসব এলাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নভেম্বরের শেষে ও ডিসেম্বরের শুরুতে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়বে।
রবিউল হাসান/এফএ/এএসএম