Site icon Amra Moulvibazari

মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতালে নেই টিকা, ভোগান্তিতে রোগীরা

মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতালে নেই টিকা, ভোগান্তিতে রোগীরা


মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ছয়মাস ধরে জলাতঙ্কের টিকা নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বন্যপ্রাণীর আক্রমণে আক্রান্ত মানুষদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজৈর উপজেলা কমপ্লেক্সে গত ছয় মাস ধরে জলাতঙ্কের টিকা নেই। সরকারি এই হাসপাতালগুলোতে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে।

টিকা সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে রোগীদের। এসব টিকা ফার্মেসিতে ৫৪০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাদারীপুরের সদর উপজেলার ঝাউদি এলাকার সবুজ হোসেন বলেন, আমার ভাগ্নিকে বিড়াল কামড়ে দেয়। তাই টিকা দেওয়ার জন্য সরকারি হাসপাতালে এসেছি। দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থেকে জানতে পারি, টিকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ফার্মেসি থেকে টিকা কিনে এনে দিতে হলো।

কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর থেকে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে কুকুর কামড় দিয়েছে। প্রথমে কালকিনি হাসপাতালে যাই। সেখানে টিকা পাইনি। পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানেও নেই টিকা। এরপর ফার্মেসি থেকে টিকা কিনে এনে দিতে হলো।

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, মাদারীপুর জেলার জন্য টিকার চাহিদা থাকলেও তার ছয় ভাগের এক ভাগ পাওয়া যায়। এজন্যই টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। অল্প বরাদ্দ পাওয়ায় অল্পতেই টিকা শেষ হয়ে যায়। তাই বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version