যে ব্যক্তির কাজা নামাজের সংখ্যা ছয় ওয়াক্তের কম, তার জন্য সেগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ কাজা নামাজগুলোর মধ্যে প্রথম কাজা হওয়া নামাজটি তিনি প্রথম আদায় করবেন, তারপর দ্বিতীয় নামাজ, তারপর তৃতীয় নামাজ। এভাবে ধারাবাহিকভাবে কাজা নামাজগুলো আদায়ের পর ওয়াক্তের নামাজ আদায় করবেন।
যার কাজা নামাজের সংখ্যা ছয় ওয়াক্তের কম, তার জন্য ওয়াক্তের নামাজ পড়ার আগে কাজা নামাজগুলো আদায় করে নেওয়া জরুরি। কাজা আদায় করতে গিয়ে জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও তাকে আগে কাজাই আদায় করতে হবে।
তবে যদি সময় কম থাকার কারণে কাজা আদায় করতে গিয়ে ওয়াক্তের ফরজ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হয়, তাহলে ওয়াক্তের নামাজ আগে পড়ে নিতে হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَذَكَرَهَا مَعَ الْإِمَامِ فَلْيُصَلِّهِ مَعَهُ ثُمَّ لِيُصَلِّ الَّتِي نَسِيَ ثُمَّ لِيُصَلِّ الْأُخْرَى بَعْدَ ذَلِكَ.
যে ব্যক্তি কোনো ওয়াক্তের নামাজ (ওয়াক্তের ভেতর) পড়তে ভুলে গেছে অতঃপর ইমামের পেছনে (পরবর্তী ওয়াক্তের) নামাজ পড়ার সময় তার ওই নামাজের কথা স্মরণ হয়, সে যেন ইমামের সাথে নামাজটি পড়ে নেয়। এরপর যে নামাজটি পড়তে ভুলে গিয়েছিল তা আদায় করে। অতপর ইমামের সাথে যে নামাজটি পড়েছে তা আবার পড়ে নেয়। (শরহু মাআনিল আসার: ২৬৮৪)
অর্থাৎ ইমামের সাথে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে ওই নামাজটি সে পড়ে নেবে কিন্তু তা ফরজ নয়, বরং নফল হিসেবে আদায় হবে। পরবর্তীতে ফরজ নামাজ আবার পড়ে নিতে হবে।
তাই যার পেছনে কোনো নামাজ কাজা নেই, তার যদি কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে যায় এবং সে ওই নামাজের কথা মনে থাকা সত্ত্বেও তা আদায় না করেই পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে, তাহলে তা নফল গণ্য হবে এবং ওই কাজা আদায়ের পর তা নতুন করে পড়তে হবে।
উল্লেখ্য, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ফরজ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
اِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ كِتٰبًا مَّوْقُوْتًا.
নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের ওপর এমন এক অবশ্যপালনীয় কাজ, যা সময়ের সাথে আবদ্ধ। (সুরা নিসা: ১০৩)
ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ কাজা করা কবিরা গুনাহ। ঘুমিয়ে থাকা, ভুলে যাওয়া বা অন্য কোনো কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাজা হলে যতো দ্রুত সম্ভব কাজা আদায় করে নিতে হবে।
ওএফএফ/জেআইএম