Site icon Amra Moulvibazari

প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভালো অবকাঠামো ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক দিচ্ছে সরকার

প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভালো অবকাঠামো ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক দিচ্ছে সরকার


দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়েও সরকার ভালো অবকাঠামো ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এমন মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও সর্বজনীন করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় রিসোর্স হলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ভালো অবকাঠামো নিশ্চিতে কাজ করছে। সেখানে শতভাগ গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক দেওয়া হচ্ছে। তারা ভবিষ্যৎ নাগরিকদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর অভিজাত রেঁস্তোরায় ‘প্রাথমিক শিক্ষায় পরিমার্জিত ডিপ্লোমা সম্পর্কিত কার্যকর সমীক্ষা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে মিড ডে মিল কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় চালু করা হবে। স্কুলগুলোকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে বাচ্চারা আনন্দের সঙ্গে লেখাপড়া করতে পারে।

মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টিতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, শিশুদের শিক্ষিত করার মূল ভিত্তি হলো মাতৃভাষা। তবে মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে, তা না হলে উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারবে না।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, মানুষকে সমাজের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। সমাজ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। নাগরিককে যৌক্তিকভাবে শেখাতে হবে, যাতে সে বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন মাইকেল ক্রেজজা প্রমুখ।

সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কনসালটেন্ট দেবরাহ ওয়েবার্ন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সহকারী বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান এবং এ টি এম রাফেজ আলম। তাদের উত্থাপিত সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন, অর্থ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ৭৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

এএএইচ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version