Site icon Amra Moulvibazari

ফ্যাশন শিল্পের জন্য বড় উদ্বেগ ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা

ফ্যাশন শিল্পের জন্য বড় উদ্বেগ ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা


বৈশ্বিক পোশাক প্রস্তুতকারক ও ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জন্য ২০২৫ সাল হবে আরেকটি অনিশ্চয়তার বছর। চলতি বছরের মন্থর প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকবে। রাজস্ব বৃদ্ধি হতে পারে একক অংকে।

ফ্যাশন শিল্পে মূল চ্যালেঞ্জগুলো হবে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ভোক্তাদের আস্থা, পোশাক কেনায় ব্যয় করার অনীহা, মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত।

মাত্র ২০ শতাংশ নির্বাহী মনে করেন ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে অবস্থার উন্নতি হবে, ৪১ শতাংশ মনে করেন পরিস্থিতি একই থাকবে এবং ৩৯ শতাংশ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন।

আমেরিকান বহুজাতিক কৌশল ও ব্যবস্থাপনা পরামর্শক সংস্থা ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি ২০২৫ সালের বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্প নিয়ে এ ভবিষ্যদ্বাণীর কথা জানিয়েছে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। ‘দ্য স্টেট অব ফ্যাশন-২০২৫’ প্রতিবেদনটি সোমবার (১১ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়।

২০২৫ সালের প্রধান চ্যালেঞ্জ

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ভোক্তাদের আস্থা, পোশাকপণ্য কেনায় ব্যয় করার অনীহা ও মুদ্রাস্ফীতির জন্য বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ফ্যাশন শিল্পের জন্য একটি অনিশ্চয়তার বছর হবে। ২০২৫ সালে ৮০ শতাংশ নির্বাহী বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পে কোনো উন্নতির আশা করছেন না।

ফ্যাশন শিল্পের নির্বাহীদের মধ্যেও অনিশ্চয়তার ছাপ দেখা গেছে। মাত্র ২০ শতাংশ নির্বাহী মনে করেন ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে অবস্থার উন্নতি হবে, ৪১ শতাংশ মনে করেন পরিস্থিতি একই থাকবে এবং ৩৯ শতাংশ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ৭০ শতাংশ ফ্যাশন এক্সিকিউটিভ ভোক্তাদের আস্থার অভাব ও ব্যয় করার অনীহাকে সামনের বছরের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে উল্লেখ করেন। ৮০ শতাংশের বেশি ক্রেতা ২০২৫ সালে ফ্যাশনে একই বা তার চেয়ে কম ব্যয় করার পরিকল্পনা করেন।

চারজন ফ্যাশন নেতৃত্বের মধ্যে তিনজন খরচের উন্নতির চেয়ে বিক্রি বাড়ানোয় অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যা ২০২৪ সালের সমীক্ষা থেকে একটু বেশি। মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তারা ক্লান্ত। এটি মধ্যম বা নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের জন্য বিশেষভাবে সত্য, যারা দামের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।

ভৌগোলিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা আগামী বছরের ফ্যাশন শিল্পকে কীভাবে প্রভাবিত করবে সে সম্পর্কে নির্বাহীরা উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনশীল গতিশীলতা এবং দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করি এই ঝুঁকিগুলো মাথায় থাকবে।

ব্র্যান্ডের নজর ক্রেতা আকর্ষণে

ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে ও মার্কেট শেয়ার বাড়াতে নিজেদের অন্যদের থেকে আলাদা করার পন্থা খুঁজছেন ব্র্যান্ডের প্রধান নির্বাহীরা। ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অধিকর্তারা পণ্যগুলোর স্থানীয়করণের দিকে মনোনিবেশ করছেন।

অর্ধেক এক্সিকিউটিভ তাদের গো-টু-মার্কেট মডেল এবং মূল্য প্রস্তাব স্থানীয়করণের পরিকল্পনা করেন। ৬৫ শতাংশ এক্সিকিউটিভ মূল্য পয়েন্টজুড়ে বিভিন্ন বিকল্প অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তাদের ভাণ্ডার পরিবর্তন করার পরিকল্পনাও করেন।

এক্সিকিউটিভরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের অগ্রগতি অগ্রাধিকার দিয়ে চলেছেন, তারা সক্রিয়ভাবে খরচ কমানোর দিকে কম মনোযোগী। ৮৫ শতাংশের বেশি আশা করেন যে তাদের পণ্য ও বিক্রির খরচ একক অংকের হারে বাড়বে।

পরিমাণ না মূল্যবৃদ্ধি?

প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, ফ্যাশন ব্র্যান্ডের নির্বাহীরা মনে করেন ২০২৫ সালে দামের চেয়ে বিক্রির পরিমাণ সামান্য বাড়বে। ব্র্যান্ডের এক্সিকিউটিভরা ক্রমাগত বিক্রির দিকে মনোনিবেশ করছে।

চারজন ফ্যাশন নেতৃত্বের মধ্যে তিনজন খরচের উন্নতির চেয়ে বিক্রি বাড়ানোয় অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যা ২০২৪ সালের সমীক্ষা থেকে একটু বেশি। মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তারা ক্লান্ত। এটি মধ্যম বা নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের জন্য বিশেষভাবে সত্য, যারা দামের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।

যাই হোক, নেতারা সম্ভাব্য ভোক্তা এবং বিক্রয় স্পট শনাক্ত করতে চান। এটি ভৌগোলিক, জনসংখ্যাগত বা প্রযুক্তিগত হতে পারে। তবে এটি সাফল্যের জন্য প্রধান নিয়ামক হবে। শিল্পের পার্থক্য এবং বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন সূত্রের প্রয়োজন।

আইএইচও/এএসএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version