Site icon Amra Moulvibazari

ব্রুনাই থেকে আনা হবে এলএনজি, মিলেছে নীতিগত অনুমোদন

ব্রুনাই থেকে আনা হবে এলএনজি, মিলেছে নীতিগত অনুমোদন


এবার ব্রুনাই থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে জি-টু-জি ভিত্তিতে ব্রুইন থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলএনজি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সরকার গত কয়েক বছর ধরে এলএনজি আমদানি করছে। এছাড়া স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি আমদানি করা হয়। বর্তমানে ২৩টি কোম্পানির সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টে করে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে এবার ব্রুনাই থেকেও এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় জি-টু-জি ভিত্তিতে ব্রুনাই থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলএনজি ক্রয়ের এ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জি-টু-জি ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদে ব্রুনাই এনার্জি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডিং এসডিএন বিএইচডি বেস্ট থেকে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় এলএনজি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বাংলাদেশ ও ব্রুনাই এর মধ্যে এলএনজি সরবরাহ সহযোগিতার বিষয়ে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল তারিখে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে ৫ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়।

স্বাক্ষরিত এমওইউ এর আলোকে ব্রুনাই সরকার মনোনীত প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালের ১০ মে তারিখে ব্রুনাই এনার্জি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডিং এসডিএন বিএইচডি (বেস্ট) কর্তৃক ২০২৪ সাল থেকে ১০ বছর মেয়াদে প্রতি বছর ১২-১৮ কার্গো এলএনজি (০.৭৫-১.২৫ এমটিপিএ) সরবরাহের প্রস্তাব করে।

কারিগরি কমিটি বেস্টের সঙ্গে চুক্তির বিভিন্ন শর্তাবলী নেগোসিয়েশন করা হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এ অবস্থায়, দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানো এবং বিদ্যুৎ, সার, শিল্পসহ অন্যান্য খাতে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জি-টু-জি ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদে ব্রুনাই থেকে পিপিএ ২০০৬ এর ৬৮ ধারা মোতাবেক সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দেয়।

এদিকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৮ ধারা ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর ৭৬(২) বিধি [তফসিল-০১, ৭৬(১)(ট)] মোতাবেক পরিচালন বাজেট খাতে মন্ত্রণালয়ের মূল্যসীমা বৃদ্ধি এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৮, ৩২ ধারার আলোকে জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কার্য ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এমএএস/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version