ডায়াবেটিসের চিকিৎসক। কিন্তু রোগীর প্রেসক্রিপশনে লেখেন কার্ডিওলজি ও আয়ুর্বেদ ওষুধ। আর এর বিনিময়ে কোম্পানির কাছ থেকে নেন অর্থ ও গিফট। এমন অভিযোগ গোপালগঞ্জের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিস সমিতি ও জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (ডায়াবেটিলোজি) এবং মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. কাজী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এবং গোপালগঞ্জের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিস সমিতি ও জেনারেল হাসপাতালের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান।
এর আগে ২৬ অক্টোবর জাগো নিউজে ‘কার্ডিওলজির ওষুধ লিখে দেন ডায়াবেটিসের চিকিৎসক, কমিশন নেন চেকে’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম কবিরকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো মশিউর রহমান বলেন, এটি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের মধ্যে পড়ে। আমরা রিপোর্টটি দেখেছি এবং নিউজ প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। প্রধান কার্যালয় থেকে নির্দেশ এলেই তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক কাজী রবিউল ইসলাম বলেন, যা পারে তাই করুক। আমি আমার ফেসবুকে লিখে দিছি।
আশিক জামান অভি/জেডএইচ/এমএস