Site icon Amra Moulvibazari

গাজায় অভিযানে ৩৭৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত

গাজায় অভিযানে ৩৭৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত


ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে নতুন করে তাদের আরও চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সোমবার উত্তর গাজা উপত্যকায় লড়াইয়ের সময় চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ৩৭৬ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে স্কুল, আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, মসজিদ এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। এসব হামলায় গাজার বেশিরভাগ ভবনই মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

এদিকে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় ‌‘গণহত্যার’ অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে প্রকাশ্যে এমন কঠোর প্রতিক্রিয়া জানালো সৌদি আরব। মুসলিম ও আরব নেতাদের এক সম্মেলনে তিনি লেবানন ও ইরানে ইসরায়েলের হামলার সমালোচনা করেছেন।

দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষণ প্রকাশ করে ইরানের মাটিতে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি অন্য নেতাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।

সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি ব্যর্থতা’। তিনি গাজায় তীব্র খাদ্য সংকটের জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছেন। প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রাথমিক পর্যায়ে সংঘাত ও ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই যুদ্ধের সূচনা হয়। এতে ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এ ঘটনার পর ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করতে পাল্টা অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত তাদের অভিযানে গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version