আগামী ২৮ জানুয়ারী কুয়েতে আদালতের রায়ের উপরই নির্ভর করছে এমপি পাপুলের ভাগ্য । মানব ও অর্থ পাচার এবং ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশটির আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে লক্ষ্মীপুরে এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ।
আর কুয়েতে সাজা হলে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য পথও হারাতে পারেন পাপুল ।
তবে সেটি বাংলাদেশের আইনি প্রক্রিয়ায় হতে হবে – বলছেন বিশেষজ্ঞরা । কুয়েতের কারাগারে আটক পাপুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপক্ষের আইজীবীরা । রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামি ২৮ জানুয়ারী । স্থানীয় গণমাধ্যমে আসা খবরে আইনজীবীরা বলছেন , তার বিরুদ্ধে মানব পাচার , অর্থ পাচার এবং ঘুষ লেনদেনের যথেষ্ট সাক্ষ্য – প্রমাণ মিলেছে ।
অভিযোগগুলো চূড়ান্তভাবে প্রমানিত হলে কুয়েতের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদন্ড হবে বাংলাদেশী এই আইন প্রণেতার । আইন অনুযায়ী কুয়েতে সাজা হলে বাংলাদেশেও কি সংসদ সদস্য পদ হারাবেন পাপুল ? সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে — কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যােগ্য হবেন না , যদি – ( ‘ ( ক ) কোনো উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করেন । ( খ ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় হতে অব্যাহতি পেয়ে থাকেন । ( গ ) তিনি যদি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন । ( ঘ ) )
তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং মুক্তির পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে ।
দুদকের অনুসন্ধানেও পাপুলের অবৈধ সম্পদের পাহাড় , অর্থ ও মানবপাচারসহ অন্যান্য অভিযাগ প্রমানিত হলে আইনি পদক্ষেপে যাওয়ার সুপারিশ করবে দুদক । একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনগুলোতেও ন্যুনতম উপস্থিতি নেই পাপুলের । সে ক্ষেত্রেও টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিধান রয়েছে