সিরিজের ট্রফির জন্য লড়াই করেছে দুই দলই। তবে শেষ হাসি ফুটেছে আফগানিস্তানের মুখেই। বাংলাদেশ ট্রফি জিততে না পারলেও কিছু অন্তত শিখতে পেরেছে। টাইগাররা অনুভব করতে পেরেছে, পাকিস্তান মাটিতে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করতে হলে খেলার মান আরও বাড়াতে হবে। নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে নিখুঁতভাবে।
সোমবার শারজায় ৯৮ বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৯৮ রানের ইনিংসের সুবাদে ৮ উইকেটে ২৪৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল বাংলাদেশ। সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের ৬৬ রানের ইনিংসটি দারুণ সহায়তা করেছিল টাইগারদের।
২৪৪ রানের ইনিংসকে একারণেই চ্যালেঞ্জিং বলা যায় যে, এই ভেন্যুতে আগের দুই ম্যাচের জয় ছিল ২৩৫ ও ২৫২ রান ডিফেন্ড করে। প্রথম ম্যাচে ২৩৫ রানের পুঁজি নিয়ে ৯২ রানে জিতেছিল আফগানিস্তান। আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৫২ রানের সংগ্রহ নিয়ে ৬৮ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু গতকাল সোমবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের ১০১ রান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অপরাজিত ৭০ রানের কাছেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখে টপকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে আফগানরা।
বাংলাদেশ ব্যাটিং করার সময় মনে হয়েছিল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড খুব স্লো। আফগানিস্তান ব্যাট করার সময় দেখা গেছে আউটফিল্ড অনেক ফাস্ট। যে কারণেই জয় পাওয়া সহজ হয়ে গেছে আফগানদের।
ম্যাচের পর এই বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রথমবার বাংলাদেশ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি জানান, রাতের দিকে শিশির পড়েছিল। তাতে উইকেটের গতি বেড়েছে। বল ভালোভাবে ব্যাটে এসেছে। যে কারণে রান তোলায়ও গতি বেড়েছে।
মিরাজ বলেন, ‘এটা একটা কঠিন কাজ ছিল। খেলোয়াড়রা সত্যিই ভালো খেলেছে। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ ও আমার জুটি (পঞ্চম উইকেটে ১৪৫ রান)। আমরা গত দুই ম্যাচে দেখেছি যে, উইকেটে স্পিন বেশি কাজ করছে এবং সেজন্যই আমরা ব্যাটিং নিয়েছিলাম (প্রথম)। কিছু (রাতে) শিশির আসছে। তাই খেলাটা খুব সহজে হয়ে গেছে। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা সত্যিই ভালো খেলেছে। বিশেষ করে গুরবাজ ও ওমরজাই। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা উইকেট পাইনি। (নাহিদ রানা) সে ভালো খেলছে।’
গতকাল বাংলাদেশ মূলত হেরে গেছে তৃতীয় উইকেটে গুরবাজ ও ওমরজাইয়ের ১০০ রানের জুটিতে। ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ নবি ও ওমরজাইয়ের ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করে আফগানিস্তান।
এমএইচ/জেআইএম