বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সাড়ে পনেরো বছরে ঘটে যাওয়া নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র্যাগিং, ইভটিজিং, গেস্ট রুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দাখিলের সময়সীমা ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাকৃবির গণতদন্ত কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
এরআগে ৯ অক্টোবর থেকে সরেজমিনে এবং ১০ অক্টোবর থেকে অনলাইনে বাকৃবির নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ শুরু করেছিল গণতদন্ত কমিশন। অভিযোগ দাখিলের শেষদিন নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ নভেম্বর যেটি বর্ধিত করে ২৪ নভেম্বর করা হয়েছে।
গণতদন্ত কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ দাখিলের সময়সীমা ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছি। অনেক শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে অভিযোগ দাখিল করতে পারেনি। আবার বিদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে কিছু কারিগরি ত্রুটির কারণে অভিযোগ জমা দিতে পারেননি। অনেক শিক্ষার্থী আবার ওই সময়ের মধ্যে সব তথ্য-প্রমাণাদি গুছিয়ে তুলতে পারেনি। এ সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে অভিযোগ দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্নের কাজ শুরু করা হবে।
২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমানকে সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারকে সদস্যসচিব করে ২৬ সদস্যের গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আসিফ ইকবাল/আরএইচ/এএসএম