পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা রয়ে গেছে। তাই অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দেশের মানুষকে সোচ্চার থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
ময়মনসিংহে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আলোচনা সভার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম।
রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটরিয়ামে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বশেমুরকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জিকেএম মুস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন।
বাকৃবির উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি ’৫২ দেখিনি ’৬৯ দেখিনি, তবে ১৯৭১ থেকে পরবর্তী প্রতিটি রাষ্ট্রীয় লড়াই-সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম। ৭ নভেম্বরের চেতনায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, পাহাড়ি আর সমতলের সবাইকে নিয়ে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তেই শহীদ জিয়া বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেছিলেন।
আসিফ ইকবাল/এসআর/এমএস