অবশেষে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে কথা বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার (১০ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেনের দুয়ার সব সময় আদর্শিক কূটনীতির জন্য উন্মুক্ত। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি মিত্রদের শক্তি প্রয়োগের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
জেলেনস্কি বলেন, একটি স্পষ্ট বোঝাপাড়া ছাড়া কূটনৈতিক লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। শুধু অস্ত্র দিয়ে কাজ হবে না। এজন্য শক্তি প্রয়োগ ও কূটনৈতিক তৎপরতা একসঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে।
শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতাকেই দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ বলে অভিহিত করেছেন জেলেনস্কি। এসময় তিনি ন্যায্যভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর আহ্বান জানান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য সহযোগিতা চেয়ে জেলেনস্কি বলেন, আদর্শিক কূটনীতির জন্য ইউক্রেনের দুয়ার সব সময় খোলা। তবে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি অস্ত্র সরবরাহেরও আহ্বান জানান জেলেনস্কি।
মাত্র পাঁচ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় পালাবদল ঘটেছে। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে উজাড় করে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিয়েছেন। এখন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে কী সিদ্ধান্ত নেবেন তার ওপরে ইউক্রেন তো বটেই, পুরো বিশ্বই তাকিয়ে রয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় ইউক্রেনে যুদ্ধ না বাড়ানোর জন্য পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
রোববার (১০ নভেম্বর) ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ফ্লোরিডা থেকে পুতিনকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। সেসময় নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক উপস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেন। পাশপাশি শিগগিরই ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাধান নিয়ে আরও আলোচনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রম্প।
ধারণা করা হচ্ছে, ফোনালাপটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এসে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো- তিনি যদি প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি
এসএএইচ