আমনের ফসলহানী কাটাতে বিদেশ থেকে চাল আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নতুন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ের প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা একথা বলেন।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমনে কিছুটা ফসলহানী হয়েছে। সেটা মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, আমি সেটা অবগত হলাম। আমার মনে হয় সঠিক পথেই আছি। সেই গতি আরও বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের ফসল প্রকৃতি নির্ভর। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, আবার ২০০৭ সালের নভেম্বরে সিডর হয়েছিল, আমরা দোয়া করি, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়। তাহলে আশা করছি, আমনে ফসলহানী হয়েছে, সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবো। এটা পূরণের জন্য বিদেশ থেকেও আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলো পাইপ লাইনে আছে।
আপনার কাজে কোনো অগ্রাধিকার থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার পকেটে ১০ হাজার টাকা থাকতে পারে, কিন্তু খাদ্য না থাকলে আপনি দুই দিনও বাঁচবেন না, মরে যাবেন। কৃষক ফসল ফলায়, তাদের সবচেয়ে বড় অবদান। বেসরকারি খাত খাদ্যশস্য আমদানি করে, এটাকেও আমরা উৎসাহিত করি।
আলী ইমাম বলেন, কিছু ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারিভাবে আমদানি করে মজুত রাখা হয়। পরে যেন আমরা মার্কেটে ইনজেক্ট করতে পারি। বেসরকারিভাবে খাদ্য আমদানি সব ট্যাক্স উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবেও আমদানিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছু শিপমেন্টেও আছে।
কৃত্রিম খাদ্য সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেটা যেন না হতে পারে, আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ আছে। আমরা খাদ্য মজুত করে মার্কেটে ইনজেক্ট করি যেন প্রাইস ঠিক থাকে। ওএমএসের মাধ্যমে আমরা যখন বিক্রি করছি তখন মার্কেটের উপর চাপ কমছে। মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে। এগুলো চলমান আছে এবং জোরদার করা হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, গত দুই তিন দিনে চালের দাম বাড়েনি, এর আগে কিছুটা বেড়েছিল। আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। উত্তরাঞ্চল আমাদের ফুড বাস্কেট। উত্তরাঞ্চলে আমন ধান নিরাপদে তুলতে পারলে, খাদ্য সংকট হবে না।
রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিদিনই নির্বাচনের কথা বলছেন আপনারা সংস্কারের মধ্যে আছেন। এতে আপনারা চাপ অনুভব করছেন কি না কিংবা কাজের সমস্যা হচ্ছে কি না- এ বিষয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর কনফিডেন্স আছে, তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ আছে, ডায়ালগ আছে।
আরএমএম/এসএনআর/জেআইএম