বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছে তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশনের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশনের সভাপতি জাস্টিন হান।
পোশাক ও টেক্সটাইলখাতে পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা অর্জনে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারা তৈরি পোশাকের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, বৈশ্বিক প্রবণতা, চ্যালেঞ্জ, সুযোগসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।আলোচনায় সহযোগিতার মাধ্যমে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পে প্রযুক্তি অভিযোজন, দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন, সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা এবং সার্কুলারিটি প্রভৃতি ক্ষেত্রে জ্ঞান এবং দক্ষতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সহযোগিতা করার জন্য উভয়পক্ষ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয়েও তারা কথা বলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ’র প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন নন-কটন এবং উচ্চ-মূল্যের পোশাকের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ কটন-পণ্য থেকে নন-কটন পণ্য, বিশেষ করে ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক পণ্য স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উচ্চতর টেকসই প্রবৃদ্ধির রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাইওয়ান নন-কটন টেক্সটাইল, উচ্চ মূল্য সংযোজনকারী পোশাক, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, ওভেন টেক্সটাইল ও পোশাক, দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। তিনি ক্ষেত্রগুলোতে সরাসরি অথবা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য তাইওয়ানের ব্যবসায়ীদেরকে আহ্বান জানান।
বৈঠকে উভয়পক্ষ পোশাক ও টেক্সটাইলখাতে পারস্পরিক সুবিধা অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এমএএইচ/জিকেএস