শুধু গরমে স্বস্তি পেতে নয় বর্ষায় ঘরেরে আর্দ্রতা ঠিক রাখতে এসি ব্যবহার করেন সবাই। শীত প্রায় দোর গোড়ায়। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসি সবারই বন্ধ থাকে। তিন-চার মাস বন্ধ থাকবে এসি। তারপর এসি চালিয়ে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আগেই কয়েকটি কাজ করতে পারেন। এতে দীর্ঘদিন এসি বন্ধ থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।
জেনে নিন শীতের আগে এসির যে সার্ভিসিং করা জরুরি-
>> প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে এসি আনপ্লাগ করে রাখতে হবে। এতে শর্ট সার্কিটের ভয় থাকবে না।
>> এবার আসা যাক সাফাইয়ে। এসির ফিল্টার দিয়ে শুরু করা যাক। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে ফিল্টার বের করে নিলেই হল। উইন্ডো এসির ক্ষেত্রে ফ্রন্ট প্যানেল খুলে তা বের করতে হবে। এর পর পানি আর সাবান দিয়ে ধুয়ে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে লাগিয়ে দিলেই হল।
>> এসির ভেতরে থাকে ইভাপোরেটর কয়েল আর বাইরে থাকে কনডেনসার কয়েল। দুটোই সাফ রাখা দরকার। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে একটা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ইভাপোরেটর কয়েল মুছে নিতে হবে। আউটডোর ইউনিটের ক্ষেত্রে কয়েল ক্লিনার স্প্রে ব্যবহার করলে ভালো হয়, কেন না কনডেনসার কয়েলে ধুলো জমে বেশি।
আরও পড়ুন
>> অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন সার্ভিসিংয়ের সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা একটা টুথব্রাশ দিয়ে এসির ভেতরে একটা জায়গা সাফ করেন। ওটাকে বলে ফিন। আমাদেরও টুথব্রাশ দিয়েই তা করতে হবে। কোনো ফিনে বেন্ট থাকলে ফিন কম্ব দিয়ে তা আলতো করে সোজা করে দিতে হবে।
>> এসির আর্দ্রতা যে অংশ শুষে নেয়, তাকে বলে কনডেনসেশন লাইন। এই জায়গাটা খুঁজে বের করে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে জমে থাকা ময়লা টেনে বের করে আনতে হবে।
>> আউটডোর ইউনিটে ময়লা জমে সবচেয়ে বেশি। তাই ওটা পানি দিয়ে ধুতে হবে। একটা পাইপ দিয়ে পানি ছিটিয়ে ছিটিয়ে ধোয়া যায়। তবে খুব বেশি পানি দেওয়া যাবে না, যাতে মেশিনের ক্ষতি না হয়।
>> বাকি থাকে কেবল দুটো কাজ। এর পর ইনডোর আর আউটডোর দুই ইউনিট ঢেকে রাখতে পারলে ভালো হয়। তাতে ধুলা জমবে না।
>> আরেকটা যেন কী করতে হবে? এসিতে ময়লা বেশিরভাগক্ষেত্রেই জমে পরিবেশ দূষণের জন্য। তাই ঘরে একটা এয়ার পিউরিফায়ার রাখতে পারলে এসিতে ময়লা জমার পরিমাণ অনেক কম হয়ে আসবে।
আরও পড়ুন
সূত্র: নিউজ১৮
কেএসকে/এমএস