লক্ষ্য মোটেই বড় ছিল না। গত বুধবার (৬ নভেম্বর) শারজায় আফানিস্তানের বিপক্ষে জিততে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৩৬ রানের। এক পর্যায়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর রান ছিল ২ উইকেটে ১১৯। কিন্তু ২৬তম ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হওয়ার পর থেকে ছন্দপতন শুরু। তারপর আফগান স্পিনার গজনফারের তৃতীয় স্পেল শুরুর পর থেকে রীতিমত ব্যাটিং ধ্বস। শেষ দিকে ২৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানের অবিশ্বাস্য পরাজয় বাংলাদেশের।
কেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে এমন ধস হলো? ১৮ বছর ২৩১ দিন বয়সী আফগান অফস্পিনার গজনফার কীভাবে একাই ৬ উইকেট নিলেন? বুধবার রাতে তিনি অনেক টার্ন করিয়েছেন বলে? হাতে কি জাদুর মেশিন স্থাপন করেছিলেন?
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকদের এই কৌতুহলি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক প্রথম ম্যাচের ব্যাটিং বিপর্যয় ও ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অকপটে স্বীকার করেছেন, আসলে উইকেটে হঠাৎ টার্ন শুরু হয়। মিরাজ ও শান্ত উইকেটের সে বাড়তি টার্নেই বিব্রত বোধ করে উইকেট দিয়ে এসেছেন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে মিরাজ জানান, ২০ ওভারের পর হঠাৎ উইকেটে টার্ন হতে শুরু করে।
ডানহাতি এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘যখন আমি আর শান্ত ব্যাট করছিলাম, তখন আমাদের দুজনের কাছে উইকেট সহজই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ২০ ওভারের পর বলটা যখন একটু সফট ও পুরোনো হয়ে গেছে। তখন হঠাৎ উইকেটে খুব টার্ন করা শুরু হয়ে যায়।’
মিরাজ আসলে বোঝাতে চেয়েছেন যে, অধিনায়ক শান্ত এবং তিনি এক পর্যায়ে অনুভব করেন উইকেট কঠিন হয়ে গেছে। এ উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যানের এসে সেট হয়ে ভালো খেলা কঠিন। তাই তাদের অন্তত একজনকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে এমনটাও অনুভব করেন তারা।
টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন, মাঝখানে আমি আর শান্ত খুব স্ট্রাগল করছিলাম। আমাদের দুজন যেভাবে সেট ছিলাম, আমাদের দুজনের ভেতরে একজনের শেষ করে আসা উচিত ছিল।’
‘আমি শান্তকে বারবারই এ কথা বলতেছিলাম যে, এই উইকেটে যেহেতু আমাদের দুজনের সমস্যা হচ্ছে খেলতে। পরের ব্যাটারদের জন্য অনেক কঠিন হবে। কারণ হঠাৎ করে উইকেটটা এত টার্ন করছিল। টার্ন করছিল, তারপর স্ট্রেট (সোজা) আসছিল। আপনি প্রিডিক্ট (আগেভাগেই বোঝা) করতে পারবেন না কোনটা সোজা যাবে, কোনটা টার্ন করবে। এটা হঠাৎ করে হয়েছিল। ওই সময়টা আমিও ভুল করেছি। শান্তও ভুল করেছে। এটা নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করেছি’- যোগ করেন মিরাজ।
এআরবি/এমএইচ/এএসএম