Site icon Amra Moulvibazari

চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দূতাবাসের মতবিনিময়

চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দূতাবাসের মতবিনিময়


চীন প্রতিনিধি

চীনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভা করেছে বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। এতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা ঝেংঝু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে সহায়তা করেন ঝেংঝু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের প্রথম সচিব আসিফা আশরাফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, প্রটোকল সহকারী লিটন মাহমুদ, চাইনিজ অনুবাদক শার্লি প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানান ঝেংঝু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পিএইচডি রিসার্চ ফেলো মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পিপাশা খাতুন, তনুশ্রী দত্ত, পিএইচডি প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম, আবিদ শাওনসহ অন্য শিক্ষার্থীরা।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদের প্রবাসী জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এছাড়া চীনে তাদের অবস্থানকালীন বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সভায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উত্থাপিত হয়।

শিক্ষার্থীরা আশা করেন, পাসপোর্ট রিনিউ করতে যেসব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এগুলো সমাধান করা, লিগ্যাল চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো এবং আনার ব্যবস্থা আরও সুপ্রসারিত করা, যেন হুন্ডির ব্যবহার না করতে হয়। চীন একটি বড় দেশ হওয়ার কারণে ইউনিভার্সিটি বা বড় শহরগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বা নাগরিকদের দূতাবাস কর্তৃক স্থানীয় প্রিতিনিধি নিয়োগের ব্যবস্থা করা। দূতাবাসের মাধ্যমে সব ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা এবং পর্যবেক্ষণ করা।

শিক্ষার্থীরা আরেও দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের গ্রাজুয়েশনের সময় সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য দৃতাবাসে অস্থায়ী বুথ খোলা। বিএমডিসির সঙ্গে সমন্বয় করে চীনের ক্লিনিক্যাল স্টাডির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করে স্বীকৃতি দেওয়া। চীনে মেডিকেল পড়তে আসার ক্ষেত্রে যথার্থ মেধা উপযোগী শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেওয়া এবং এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান ও দূতাবাসের নজরদারি রাখা।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের প্রথম সচিব আসিফা আশরাফ বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি পযার্য়ক্রমে বাস্তাবায়ন করা হবে। তাছাড়া, দেশ গঠনে চীনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি চীনে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রবাসীদের আরও বেশি যুক্ত হতে হবে।

এসময় তিনি আশ্বাস দেন যে, আগামী দুই মাসের মধ্যে বেইজিং থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হবে। পাশাপাশি যে কোনো জরুরি সার্ভিস দ্রুততার সঙ্গে দেওয়ার বিষয়ে দূতাবাস কাজ করছে বলেও জানান আসিফা আশরাফ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ের ২০ শিক্ষার্থী এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০ দেশের আড়াই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এদের মধ্যে ৩৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

মো. সায়েদুল ইসলাম/কেএসআর/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি,
স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা
পাঠানোর ঠিকানা –
[email protected]
Exit mobile version