চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে অন্য আসামিকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিরাজাম মুনীরা এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ওই যুবক হলেন- রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড রাজানগর এলাকার বাসিন্দা নেজাম উদ্দিন (৩০)। এছাড়া ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর আইচা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হালিমকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, আদালত ১১ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন। রায়ে তিন আসামির একজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন এবং অন্যজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। একই রায়ে আবদুল হালিমকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় সময় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নেজাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি আবদুল হালিম পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৩ মে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুরাদনগর এলাকায় চতুর্থ তলার একটি বাসা থেকে রেবেকা সুলতান মনি নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ভবনের দারোয়ান আবু ছিদ্দিক রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই বছরের ২০ মে নেজামকে গ্রেফতার করা হয়।
জবানবন্দিতে নেজাম আদালতকে জানায়, খুনের শিকার মনি হালিম থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা পেতেন। সে টাকা দিতে হালিমকে চাপ দিতে থাকেন মনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মনিকে খুন করার জন্য নেজামকে জানান হালিম। ওই বছরের ১১ মে নেজাম মনিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন এবং বাসা তালা মেরে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
২০২২ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন আদালত। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।
এএজেড/এমআইএইচএস/এএসএম