আট দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের সব কার্যক্রম ১৫ দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন।
পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘হাজারি লেনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্য করছি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির প্রয়াস চলছে। পুরো দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতাকে আমরা যে এতদিন ধরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বিঘ্নভাবে কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ না দিয়ে যে ৮ দফা ভিত্তিক আন্দোলন করছি, এটাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে এ ধরনের প্রয়াসে সুবিধা লাভ করার সুযোগ দিতে পারি না। এজন্য বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ৩ কোটি জনসাধারণের যে আবেগ ৮ দফা- এই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানকারী সনাতন জাগরণ মঞ্চ এবং সংখ্যালঘু জোট মিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি রাষ্ট্র এবং সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য গণতান্ত্রিক বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের প্রতি যে অনুরোধ রেখেছে, সে অনুরোধের প্রতি আমরা সাড়া দিয়ে আজ থেকে আগামী ১৫ দিন সব কর্মসূচি স্থগিত করছি।’
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী আরও বলেন, ‘আমাদের সাতক্ষীরায় সমাবেশ, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি ছিল। এসব কর্মসূচি আমরা স্থগিত করেছি। আমরা অনুরোধ করবো আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে যোগদানকারী সব সংগঠন, সব সনাতনী জনগোষ্ঠী আমাদের সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করবেন। আমরা রাষ্ট্র বিনির্মাণে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।’
গত ১ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে গণসমাবেশ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সমাবেশ থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ শেষে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় সমাবেশ থেকে সনাতনীদের ‘অস্তিত্ব রক্ষায়’ আট দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সংসদে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি আইন প্রণয়ন, পার্বত্য চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন প্রভৃতি।
এএজেড/কেএসআর/এএসএম