টিবি বা যক্ষ্মা হলো একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত ব্যাধি। এই রোগের ব্যকটেরিয়া হলো মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। প্রাথমিকভাবে টিবি রোগ ফুসফুসে একটি সংক্রমণের আকারে থাকে।
সেই সংক্রমণ বাড়তে বাড়তেই রোগের আকার নেয়। টিউবারকিউলোসিস বা টিবিতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। এমনকি এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেকটাই।
টিবির লক্ষণ কী কী?
>> গুরুতর কাশি (২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়)
>> পরিবারে টিবির রোগী থাকলে
>> কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা
>> ক্লান্তি
>> ক্ষুধা কমে যাওয়া
>> ওজন কমে যাওয়া
>> শরীরে ঠান্ডা লাগা
>> জ্বর
>> রাতে ঘাম হওয়া ইত্যাদি।
টিবি কেন হয়?
>> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে
>> টিবি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ
>> অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
>> নিয়মিত ধূমপান
>> দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভোগা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
টিবি নির্ণয়ের উপায় কী?
কী সেই পরীক্ষা?
সাধারণত পিইটি-সিটি ও রক্তপরীক্ষা করে টিবি রোগ শনাক্ত করা হয়। তবে অ্যাক্টিফাজ নামের একটি বিশেষ পরীক্ষাও আছে। অ্যাক্টিফাজ আসলে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়োফাজ অ্যাসে পরীক্ষা। ব্যাকটেরিয়োফাজ খুঁজে খুঁজে ব্যাকটেরিয়াকেই আক্রমণ করে। এর ফলে টিবি ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএকে শনাক্ত করা সহজ হয়ে যায়। যা অন্য পদ্ধতিতে করা মুশকিল।
টিবি’র চিকিৎসা কী?
টিবি’র প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে চিকিৎসকরা ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার রোধের জন্য ৬ মাসের ওষুধ দেন। নিয়মিত ফলোআপের পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে রোগী আবার টিবি থেকে সংক্রমিত না হন। টিবি চিকিৎসার দ্বিতীয় পর্বে ৮-৯ মাসের টিবি ওষুধ দেওয়া হয়, যা শরীরের অভ্যন্তরে সুপ্ত যক্ষ্মাকে মেরে ফেলে।
যদি রোগী ক্যাটাগরি ওয়ান ও টু এর ওষুধ খেয়েও সুস্থ না হন, সেক্ষেত্রে আবার তৃতীয় বা চতুর্থবার টিবিতে আক্রান্ত হতে পারেন। একে বলা হয় এমডিআর টিবি, যার মানে মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/পিটিআই
জেএমএস/জেআইএম