Site icon Amra Moulvibazari

তিলধারণের ঠাঁই নেই সোহরাওয়ার্দীতে, ঠেকেছে ঢাবি ক্যাম্পাস পর্যন্ত

তিলধারণের ঠাঁই নেই সোহরাওয়ার্দীতে, ঠেকেছে ঢাবি ক্যাম্পাস পর্যন্ত


ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলনে লাখো আলেম-ওলামারা অংশগ্রহণ করেছেন। এতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মহাসম্মেলনের সীমানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস, রমনা পার্কসহ আশপাশের সব সড়ক ছাড়িয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল নয়টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন শুরু হয়। তবে ভোর থেকেই সেখানে জমায়েত হয়েছেন লাখো আলেম-ওলামারা। এই সম্মেলন দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দীনের হেফাজতের লক্ষ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনের শুরু থেকেই একেক করে বক্তব্য দিচ্ছেন কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক আলেমরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর বসে, দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুনছেন দেশের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও জনতা।

তবে সম্মেলনে মানুষের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সম্মেলনে আগত অর্ধেকের বেশি মানুষ রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শহীদ মিনার, শাহবাগ, প্রেস ক্লাব এলাকায় সড়কে, ফুটপাতে বসে মাইকে বক্তব্য শুনছেন। আর মানুষের মাঝে বিনা মূল্যে খাবার বিতরণ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। আবার সমাবেশে যাওয়া হাজারো ওলামা-মাশায়েখ ও জনতাকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে চড়তে দেখা গেছে।

কিশোরগঞ্জ থেকে গতকাল রাতে এই মহাসম্মেলন এসেছেন আলীম উদ্দিন। ভোররাতে এসেও তিনি সম্মেলনের সামনের অংশে বসতে পারেননি। রমনা কালি মন্দিরের উত্তর পাশে ঘাসের ওপর জায়নামাজ বিছিয়ে বসেছেন। আলাপকালে আলীম উদ্দিন বলেন, তাবলিগের দুই পক্ষের জন্য ২০১৯ সাল থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবার দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। এবার তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবি জানান। তারই বিরোধিতা করে এই মহাসম্মেলনের ডাক দেন কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক আলেমরা। এই সম্মেলনে সারা দেশ থেকে অন্তত ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।

তিলধারণের ঠাঁই নেই সোহরাওয়ার্দীতে, ঠেকেছে ঢাবি ক্যাম্পাস পর্যন্ত

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন মোকিম আহমেদ। তিনি বলেন, মাওলানা সাদ একজন বিতর্কিত আলেম। তার এক বক্তব্যের কারণেই বাংলাদেশে তাবলিগ জামাত এবং টঙ্গী ইজতেমা আলাদা হয়ে গেছে। এখন এই বক্তাকে আবার দেশে আনতে চাচ্ছে তাবলিগদের একটি অংশ। আবার তারা টঙ্গীতে প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চাচ্ছে। এবার তাদের আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।

সম্মেলনে আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত আছেন বলে জানিয়েছেন ওলামারা।

এমএমএ/এসআইটি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version