Site icon Amra Moulvibazari

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মুসলিমদের ভোট যাবে কার পক্ষে?

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মুসলিমদের ভোট যাবে কার পক্ষে?


মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিম আমেরিকানরা এবার কোন পক্ষ নেবেন- এ প্রশ্নটি বেশ কয়েকদিন ধরে বেশ জোরালোভাবেই আলোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে, গাজা যুদ্ধ ও অন্যদিকে, লেবাননে সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতের কারণে এবারের নির্বাচনে মুসলিমরা কাকে বেছে নেবেন, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।

যদিও সংখ্যার বিচারে মুসলমানরা মার্কিন জনসংখ্যার খুব বেশি নয়। মাত্র এক শতাংশ। কিন্তু মিশিগান ও পেনসিলভেনিয়ার মতো তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যগুলোতে মুসলিমদের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক ভূমিকা পালন করে। আর এই বছরের মুসলিম ভোটের ক্ষেত্রে মূল ইস্যু হলো- গাজা যুদ্ধ।

গাজার নির্মম ভয়ংকর যুদ্ধে বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ভূমিকায় আমেরিকান মুসলমানরা হতাশ। ফিলিস্তিনিদের অমানবিক দুর্দশার জন্য ডেমোক্র্যাটদের প্রতি তাদের ঘৃণা রয়েছে।

অন্যদিকে, তারা ভোলেননি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ৯/১১ পরবর্তী সময়ে রিপাবলিকানদের ইসলামফোবিয়া অব্যাহত রাখার কথাও তাদের ভোলার কথা নয়।

এমন পরিস্থিতি আমেরিকান মুসলিমরা তাহলে কী করবেন? তাঁরা কি দুই শয়তানের মধ্যে কম খারাপটাকেই বেছে নেবেন? নাকি এই ভোট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখবেন?

নির্বাচনী জরিপ বলছে, প্রায় ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ভোট দেবেন কমলা হ্যারিসকে, যা ডেমোক্র্যাটদের জন্য মোটেই ভালো সংবাদ নয়। আমেরিকান মুসলিমদের মধ্যে ২০১৬ সালে ৬৫ শতাংশ হিলারি ক্লিনটনকে ও ২০২০ সালে ৮০ শতাংশ জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন। বারাক ওবামার ক্ষেত্রে এই অনুপাত ছিল ২০০৮ সালে ৮০ শতাংশ ও ২০১২ সালে ৯২ শতাংশ।

অনেকে মনে করছেন, কমলা হ্যারিসকে প্রত্যাখ্যানকারী মুসলিম আমেরিকানরা ট্রাম্পকে ভোট দিতে পারেন। বেছে নিতে পারেন তৃতীয় কোনো প্রার্থীকে অথবা ভোট দেওয়া থেকে পুরোপুরি বিরতও থাকতে পারেন। তবে মুসলিম আমেরিকানরা মনে করেন যে নির্বাচন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে ফেলা গণতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যানের শামিল।

সূত্র: বাসস

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version