Site icon Amra Moulvibazari

বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান

বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান


বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের শুরু ১৯৭৮ সালে তৈরি পোশাক শিল্পের মাধ্যমে। সেই থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইল, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ প্রায় ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু রপ্তানি শিল্পে উচ্চ শুল্কসহ নানা জটিলতায় কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। এর থেকে উত্তরণের জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে বিনিয়োগ পরিবেশ করা জরুরি।

রোববার (নভেম্বর ৩) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) এবং কোরিয়ান দূতাবাস আয়োজিত ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান।

এফআইসিসিআই নির্বাহী পরিচালক নুরুল কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

সূচনা বক্তব্যে এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ পাচ্ছি না। সহযোগিতামূলক পদ্ধতি উদ্ভাবন উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা নতুন বিনিয়োগের সুযোগগুলিকে আনলক করবে।

কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) সভাপতি শাহাব উদ্দিন খান বলেন, এই ধরনের সেমিনারগুলি অর্থনৈতিক সহযোগিতা চালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। সামনের দিকে তাকিয়ে কোরিয়ান চেম্বার ব্যবসার স্বার্থে এবং এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য এফআইসিসিআইর সঙ্গে অংশীদারত্ব চালিয়ে যেতে আগ্রহী।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং বাংলাদেশের জন্য তাদের তাৎপর্য সম্পর্কে একটি তথ্যবহুল উপস্থাপনায় কোরিয়া-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (ইপিএ) প্রয়োজনীয়তা, আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে (আরসিইপি) বাংলাদেশের প্রবেশের প্রভাব এবং বাংলাদেশের এফটিএ নীতির উন্নতির জন্য সুপারিশ পেশ করে।

সংলাপে নিযুক্ত অংশগ্রহণকারীরা অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করার জন্য উদ্ভাবনী কৌশলের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, কোরিয়া ও বাংলাদেশ উভয়েরই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করে।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির (কোটরা) মহাপরিচালক সামসু কিম, প্রাইম ক্যাপ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুক মিন কো, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স প্রতিনিধি হোয়ান সিওং উ, কোরিয়া এক্সিমব্যাঙ্কের প্রতিনিধি উ জং-হিউন, কোরিয়া ওভারসিজ ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (কাইন্ড) পরিচালক কিম সি-হিউং, এফআইসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, কেবিসিসিআই সদস্য কোম্পানির সিইওসহ আরও অনেকে।

এসআরএস/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version