Site icon Amra Moulvibazari

হাজারীবাগে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

হাজারীবাগে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার


রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। তারা হলেন, সুমিত দাস (২২) ও তৈবুর রহমান রনিত (২২)।

শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে হাজারীবাগ থানার গনকটুলির সিটি কলোনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (৩ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভিকটিম মো.বিপ্লব ইসলাম প্রিন্সের (২০) মা বাদী বিলকিস বেগমের (৩৯) অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাজারীবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন>>>
মোটরসাইকেলে ঘুরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ছিনতাই করতো তারা

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে বাদী বিলকিস বেগমের ছেলে মো.বিপ্লব ইসলাম প্রিন্স গনকটুলির সিটি কলোনি বৈলখানা গেইটের সামনের রাস্তায় থাকাকালে এজাহারনামীয় ছয়জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার উপর হামলা করে। তারা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা বিপ্লবকে মারধর করে এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় বিলকিস বেগম ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা করান।

মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আরও জানান, তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় সুমিত দাস ও তদন্তে প্রাপ্ত তৈবুর রহমান রনিতকে শনিবার রাতে গনকটুলির সিটি কলোনী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুইজন জানিয়েছেন, তারা হাজারীবাগ এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য ও তাদের ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের গ্রুপের প্রধান ইয়াসিন। তারা দীর্ঘদিন ধরে হাজারীবাগ এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মারামারি, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।

টিটি/এসআইটি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version