মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। যার বোমা ও মর্টারশেলের শব্দে কাঁপছে এপারে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। বিকট শব্দে নির্ঘুম রাত পার করেছে সীমান্তবাসী। এতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে থেমে থেমে রোববার ভোর পর্যন্ত হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া বোমা ও মর্টারশেলের ভারী শব্দ এপারের সীমান্তে ভেসে আসে। টেকনাফ, হ্নীলা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন সীমান্তজুড়ে মিয়ানমারের রাখাইনে বিস্ফোরণের শব্দ এপারের বাসিন্দাদের কানে লাগছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু ও তার আশপাশের সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছে।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ বলেন, সারারাত নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। রাখাইন সীমান্তে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া বোমা ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে বাড়ি-ঘর ভূমিকম্পনের মতো কেঁপে ওঠে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ছৈয়দ আলম বলেন, শনিবার সকাল ও দুপুরে মিয়ানামার অংশে দুই-একবার হেলিকপ্টর উড়তে দেখা গেছে। এরপরই হেলিকপ্টর থেকে বোমা নিক্ষেপ শুরু হয়েছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের চলমান সংঘাতে এপারের বাসিন্দারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের অভ্যন্তরে চলা এই যুদ্ধ এক-দুই দিন বন্ধ থাকলেও আবারো শুরু হয়। এতে সীমান্তসহ সাগর ও নাফ নদীতে জেলেরা যেতে ভয়ে থাকেন। সেইসঙ্গে রাত জেগে বসে থাকেন। শনিবার দিনে সারাদিন ও রাত পর্যন্ত এবং রোববার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের চলমান সংঘাত থেকে এপারে প্রায় সময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ গতরাতে বেশি শোনা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সীমান্তে স্থানীয়দের সতর্কভাবে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম/এফএ/এমএস