কানাডায় খালিস্তানিদের ওপরে হামলার নেপথ্যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত রয়েছে। কানাডার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসনের এমন বক্তব্য নিয়ে অবশেষে মুখ খুললো ভারত। এ বিষয়ে নয়াদিল্লির কানাডা দূতাবাসের এক কূটনীতিককে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, কানাডার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেন, তা অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। ভারত সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ করছে।
শনিবার জয়সওয়াল বলেন, কানাডার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ভারতকে অসম্মান ও অন্য দেশকে প্রভাবিত করার জন্য কৌশল হিসেবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে ভিত্তিহীন ইঙ্গিত করছেন। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।
গত ১৩ অক্টোবর কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে যাদের স্বার্থ জড়িত, সেই তালিকায় কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা রয়েছেন। এরপরেই সঞ্জয়সহ কয়েক জন কূটনীতিককে ভারতে ফেরত আনা হয়।
পাশাপাশি ভারতও কয়েক জন কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। সেই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, কানাডার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে হরদীপ সিংহ নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে।
খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি গুরুদ্বারের সামনে হত্যা করা হয়। এরপরেই নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাল্টাপাল্টি বাহিষ্কার করা হচ্ছে কূটনীতিকদের।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম