Site icon Amra Moulvibazari

দামুড়হুদায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু

দামুড়হুদায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু


চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়ার্ড বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত সুলতান হোসেন (৪৫) জগন্নাথপুর খলিশাপাড়া গ্রামের মৃত আফসার ব্যাপারীর ছেলে ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা। এদিকে, গতরাতে অভিযুক্তদের মধ্যে সোহরাব উদ্দীন (৫৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর মো. সুলতান ও আরিফুল ইসলাম আরিফের (৩৮) দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে সুলতান ও জমীর উদ্দীন জখম হন। পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে সুলতানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে সুলতানের মৃত্যু হয়।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর সুলতানের ছেলে পলাশ উদ্দীন বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে- জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আবেদ পন্ডিতের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৮), মৃত ভরস আলীর ছেলে সাহাবুদ্দিন (৪৫), সোহরাব উদ্দীন (৫৫), সাহাবুদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান (২২) ও একই এলাকার ইজারুল ইসলামের আবু সাঈদ (২৩)।

এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানের মৃত্যু হলে গতরাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ এজাহারনামীয় আসামি সোহরাব উদ্দীনকে গ্রেফতার করে।

নিহত সুলতানের ছেলে পলাশ উদ্দীন এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার বাবা সুলতানের বিরোধ চলে আসছিল। সেসব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বোয়ালমারী গ্রামের ফকিরপাড়া মোড়ে সুলতান হোসেনের সঙ্গে আসামিদের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ের আসামিরা ধারালো দা, লোহার রড, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি নিয়ে সজ্জিত হয়ে সুলতানের ওপর হামলা করে।

এ সময় ২ নম্বর আসামি সাহাবুদ্দিনের হুকুমে ১ নম্বর আসামি আরিফ তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে সুলতানের মাথায় কুপিয়ে জখম করে। প্রতিবেশী জমির উদ্দীন (৪৪) ঠেকাতে গেলে আসামি সোহরাব উদ্দীন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জমিরকেও পিটিয়ে জখম করে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মামলার ভিত্তিতে আসামি সোহরাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুলতানের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

হুসাইন মালিক/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version