Site icon Amra Moulvibazari

এনআইবির নতুন ডিজি পদে ড. শাহেদুরের যোগদানে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি

এনআইবির নতুন ডিজি পদে ড. শাহেদুরের যোগদানে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদে নিয়োগ দেওয়া হলেও তাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বায়োটেকনোলজির দুটি সংগঠন এবং ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অনতিবিলম্বে এনআইবির মহাপরিচালক হিসেবে ড. শাহেদুরের যোগদানের ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ড. শাহেদুর রহমানের বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনলোজি গ্রাজ্যুয়েটস (বিএবিজি)।

সংবাদ সম্মেলন থেকে দেশের জীবপ্রযুক্তি গবেষণা ও কর্মপরিধি এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে এই গুণী জীব বিজ্ঞানীকে অবিলম্বে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক পদে নিয়োগ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব জানান, অনতিবিলম্বে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানকে যোগদান করতে দেওয়া না হলে কর্মবিরতি ও মানববন্ধনসহ অন্য কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উম্মে সালমা যোহরা, টেকনোওয়ার্থ অ্যাসোসিয়েটসের জেনারেল ম্যানেজার আ.ন.ম তারিকুল ইসলাম, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক অজয় রায়, বিইউএইচএসের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান, জেনবিট হেলথ সিইও ও বিএবিজির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই ও একমি ল্যাবরেটরিজের এক্সিকিউটিভ রাজিব শাহরিয়ার এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই শেখ আশরাফ সিদ্দিকী প্রমুখ।

বক্তারা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক হিসেবে দ্রুত দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তারা বলেন, দেশে ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক বিভাগ আছে। সেসব বিভাগ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১১০০ স্নাতক বের হচ্ছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে দক্ষ জীবপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে তাদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ কোনোটিই নেই। এর পেছনে এতদিনের নেতৃত্বের সংকটকে দায়ী করেন তারা।

বক্তারা বলেন, অধ্যাপক শাহেদুর রহমান বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তি প্রসারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি জীবপ্রযুক্তিবিদদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্র‍্যাজুয়েটসের (বিএবিজি) সভাপতির দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়ন কমিটিতে থাকার পাশাপাশি সরকারের একাধিক কমিটিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। এর বাইরেও তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি বিষয়ের সিলেবাস প্রণয়ন করেছেন।

তারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় করোনা মহামারির সময় জীবপ্রযুক্তিবিদদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান। বিসিএস পরীক্ষায় বায়োটেকনোলজিকে অন্তর্ভুক্তকরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। জীবপ্রযুক্তিবিদদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে যে উদ্যোগ তৈরি হয়েছে তার প্রাণ ও চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে তার নেতৃত্বাধীন সংগঠন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।

এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version