দল খারাপ খেলছে। আর তিনি অধিনায়ক হিসেবেও ভাল খেলতে পারছেন না। ব্যাটে রান নেই। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়াটা হচ্ছে না একদমই। তাই সমালোচনার বিষ মাখানো তীর এখন নাজমুল হোসেন শান্তর দিকে ছুটে আসছে একের পর এক। তাকে নিয়ে এখন নানা তীর্যক কথা-বার্তা।
ঠিক এমন সময় আজ হঠাৎ শোনা গেল, নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাচ্ছেন। রান করতে পারছেন না, দল ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা। এমন পরিস্থিতিতে আর অধিনায়কত্ব করতে আগ্রহী নন শান্ত। এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে।
শান্ত কি সত্যিই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছেন? তিনি কি ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে বোর্ড প্রধান ফারুক আহমেদ ও শীর্ষ কর্তাদের সাথে কথা বলতে চান? এমন অবস্থায় বোর্ডের ভাষ্য কী? বিসিবি কী ভাবছে? শান্ত কী বোর্ডের যোগাযোগ করেছেন?
শনিবার সন্ধ্যা নামতেই এমন গুঞ্জনে মুখর ক্রিকেট পাড়া। জল্পনা-কল্পনার ফানুস উড়ছে বাতাসে। বিসিবির অন্যতম পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানালেন, তিনি বা বোর্ডে এখনো এমন খবর পৌঁছেনি।
আজ শনিবার শেরে বাংলায় মিডিয়া কর্মীদের সাথে আলাপে বিসিবি পরিচালক ফাহিম বললেন, ‘আমিও টিভি স্ক্রলে দেখেছি, আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি, অফিসিয়ালি সে নাকি ঘোষণা করেছে কোথাও না কোথাও। যদি হয়ে থাকে, অফিসিয়াল কোনো ডকুমেন্ট আমার কাছে আসেনি। আমি এখনও অফিসিয়ালি জানতে পারিনি যে, এটার সত্যতা কতটুকু। যদি হয়ে থাকে এটা আমাদের জন্য একটা বড় খবর।’
এখন শান্ত যদি সত্যি সত্যি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে চান, তাহলে বিসিবির সিদ্ধান্ত কি হবে? বিসিবি কি শান্ত অব্যাহতি নিলে তা মেনে নেবে? জবাবে ফাহিম বলেন, ‘বিসিবি অবশ্যই শান্তর সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে। অবশ্যই বিসিবি আলোচনা করতে চাইবে। কারণ, শান্ত এতদিন ধরে অধিনায়কত্ব করে আসছে। এটা তো আমাদের সময়েরও বিনিয়োগ। আমরা একজনকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সে যদি হঠাৎ করে সরে যায়, নতুন আরেকজন সে তো অপ্রস্তুত।’
বিসিবি পরিচালক ফাহিমের কথায় পরিষ্কার বিসিবি এখনই অধিনায়ক বদলের চেয়ে শান্তকে আপাততঃ রেখে দেয়ার চিন্তা করছে, ‘ক্রিকেট বোর্ডকে অনেক বড় বড় স্টেপ নিতে হবে। নতুন অধিনায়ক যদি তৈরি করতে হয় অথবা তাকে বুঝিয়ে রাখা যায় কি না। আমাদের বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এখন একটা ঘটনা জানা গেছে। এখন আমাদের বিচার-বিবেচনা করতে হবে আমাদের কী অবস্থা, কী সিদ্ধান্ত নেবো। এটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
এআরবি/আইএইচএস