Site icon Amra Moulvibazari

কয়েকবার বার্সা ছেড়ে দিতে চেয়েছেন রাফিনহা!

কয়েকবার বার্সা ছেড়ে দিতে চেয়েছেন রাফিনহা!


বার্সেলোনার অন্যতম বড় তারকা এখন রাফিনহা। গেল সপ্তাহে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বার্সা। জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাবটির বিপক্ষে ৯ বছর পর জয় পেয়েছিল কাতালানরা। যেই তারকার হাত ধরে প্রায় এক দশকের অপেক্ষা ঘোচালো বার্সা, সে রাফিনহাই কিনা ক্লাব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বেশ কয়েকবার!

সম্প্রতি ফুুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাফিনহা। সেখানেই বার্সা ছাড়ার কথা জানান তিনি। মূলত ক্লাবের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারা, অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের কথা ভেবেই স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাবটি ছাড়ার চিন্তা করছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান।

বার্সায় এখন রাফিনহার তৃতীয় মৌসুম চলছে। ২০২২ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিত বার্সায় আসার পর প্রথম দুই মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের মাথায় এসেছিল এসব চিন্তা। তবে চলতি মৌসুমে ভালো করতে পারায় মানসিকভাবে স্বস্তি বোধ করছেন তিনি।

রোববার রাতে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুুখি হওয়ার আগে রাফিনহা বলেন, ‘বেশ কয়েকবার এমন চিন্তা (ক্লাব ছাড়া) এসেছিল। শুধু একবার নয়। এখানে আমার প্রথম ছয় মাস, গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমার সেরা সময় ছিল না। তাই ক্লাব ছাড়ার কথা মনে এসেছিল।’

‘অনেক আত্ম-দ্বন্দ্বে ভুগছিলাম। আমার আত্ম-সমালোচনার একটি বাজে অভ্যাস আছে। বলতে গেলে ওই চাপই আমাকে ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতে বাধ্য করেছে। তারপর বিশ্বকাপের পরে আমি একটি বিশাল পরিবর্তন দেখেছি। ছয় মাসে অনেকগুলো গোল করতে পেরেছি’-যোগ করেন রাফিনহা।

গত মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল রাফিনহাকে। লা লিগায় গেটাফের বিপক্ষে ওই ম্যাচের পরও তিনি ক্লাব ছাড়ার কথা ভাবছিলেন।

রাফিনহা বলেন, ‘শুরুতেই ইনজুরিতে মাঠ ছাড়ার পর এবং মৌসুমের শেষে আবার ইনজুরিতে পড়া আমাকে অনেককিছু দেখিয়েছিলো। ক্লাব আমাকে বিক্রি করতে চায় এমন অনেক কিছু দেখেছি। ভক্তরাও চেয়েছিল আমি চলে যাই। এটা আপনার মনকেও ছাড়িয়ে যায়। তখন মনে হয় এমন কোথাও যেতে, যেখানে কোনো চাপ নেই।’

এমএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version