ক্লাবের বিনা অনুমতিতে সৌদি সফরের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে ভিডিও বার্তা প্রদান করেছেন লিওনেল মেসি। বলেছেন, ম্যাচের পর ছুটি পাবেন ভেবে এমনটি করেছেন তিনি। এর আগে সফরটি একবার বাতিল করায় এবার আর তা সম্ভব হয়নি বলে জানান পিএসজি ফরোয়ার্ড। এখন ক্লাবের পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছেন লিও। খবর স্কাই স্পোর্টসের।
ক্লাবের অনুমতি না নিয়ে লিওনেল মেসির সৌদি আরব সফরের ঘটনায় হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন লিওনেল মেসি। পিএসজির পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহের শাস্তিও ঘোষণা করা হয়েছিল বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন তারকার জন্য। এমনকি মেসির সাথে চুক্তি নবায়ন না করারও সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চলছে গুঞ্জন। পিএসজির সমর্থকেরা সম্প্রতি স্লোগানও দিয়েছেন মেসির বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় সৌদি আরবে কোথায় থাকবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতেই নাকি সপরিবারে সৌদি সফরে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ফিফা এজেন্ট মার্কো কিদের্মিরে দাবি করেছিলেন এমনটাই। সন্দেহ প্রকাশ করে এও বলেছিলেন বাদশাহর ক্লাব আল-হিলালেই পাড়ি জমাচ্ছেন মেসি। তবে অবশেষে নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাইলেন পিএসজি ফরোয়ার্ড।
পিএসজি ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি বলেন, আসলে যা কিছু হয়েছে তার জন্য আমাকে এই ভিডিওটি করতেই হতো। প্রথমত ক্লাবের সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। সত্যি কথা বলতে আমি ভেবেছিলাম আমরা প্রতিবারের মত ম্যাচের পরে একদিন ছুটি পাবো। তাই আমি এই সফরটি আয়োজন করেছিলাম। এটি আগেও একবার বাতিল করা হয়েছে তাই আবার বাতিলও করতে পারিনি। যা করেছি তার জন্য আবারো ক্ষমা চাচ্ছি। আমি এখন ক্লাবের পরবর্তী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
ফরাসি পত্রিকা লে কিপের সাংবাদিক লোয়িস তানজি জানিয়েছেন লঁরিয়ার বিপক্ষে পিএসজি হেরে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ম্যাচটি জিতলে পরের দুইদিন ছুটি পেতেন মেসিরা। ৩-১ গোলে ঐ ম্যাচ হারায় পরদিনই অনুশীলন ঘোষণা করা হয়। আর সেদিনই সপরিবারে সৌদি আরবে উড়াল দেন মেসি। এতেই বাধে বিপত্তি। দেশটির পর্যটন দূত হওয়ায় নিজের প্রতিশ্রুতি পালনের বিকল্প ছিলনা মেসির হাতেও।
এই ঘটনার পর বিবিসি অবশ্য জানিয়েছিল সফরটির জন্য ক্লাবের কাছে অনুমতি চাওয়া ছিল লিওর। তবে তাতে সায় দেয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। উল্টো এই ঘটনার পর দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ দেয়া হয় ক্লাব থেকে। ফলে আপাতত ক্লাবের হয়ে কোন ম্যাচ খেলাতো দূরের কথা অনুশীলনেও অংশ নিতে পারবেন না আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। পাবেন না আর্থিক সুবিধাও। তবে দেখার বিষয় ক্ষমা চেয়ে এলএমটেনের ভিডিও বার্তার পর সুর নরম হয় কিনা প্যারিস সেন্ট জার্মেইর।
এএআর/