Site icon Amra Moulvibazari

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ‘সোনার ডিম পাড়া মানুষ’ আটক (ভিডিও)

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ‘সোনার ডিম পাড়া মানুষ’ আটক (ভিডিও)


৩২টি স্বর্ণের বারসহ আটককৃত জিয়া উদ্দিন।

গল্পের হাঁস নয়, যেন বাস্তবেই ‘সোনার ডিম’ পাড়েন এমন এক ব্যক্তির দেখা মিললো চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তবে, ঠিক ডিম নয়। তার পায়ুপথ দিয়ে একে একে বের করা হয় ৯টি স্বর্ণের বার। বাকি ২৩টি বার পাওয়া যায় তার জুতার তলায় ও প্যান্টে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে দুবাই থেকে বাংলাদেশ বিমানযোগে চট্টগ্রামে নেমেই শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (সিআইআইডি) জালে ধরা পড়েন এ যুবক।

উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বার।

সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প কমবেশি সবার জানা। তবে এবার হাঁস নয়। বলা যায়, সোনার ডিম পেড়ে দেখালেন জিয়া উদ্দিন নামের এক যুবক। টয়লেটে নিয়ে তার পায়ুপথ থেকে বের করা হয় ৯টি স্বর্ণের বার।

বিশেষ পদ্ধতিতে পায়ুপথ থেকে স্বর্ণ বের করা হচ্ছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই ফেরত এক যাত্রী জুতার ভেতরে ও প্যান্টে অভিনব কৌশলে লুকিয়ে রেখেছেন স্বর্ণের বার- এমন খবর সিআইআইডির কাছে আগে থেকেই ছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পেটের ভেতর ৯টি, জুতা ও প্যান্টে ২৩ টিসহ প্রায় ৪ কেজি ওজনের ৩২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের টিম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য অন্তত ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা!

জুতার নিচেও কৌশলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল স্বর্ণের বার।

চট্টগ্রাম শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান এ প্রসঙ্গে জানান, তার তলপেটে চাপ দিয়ে আমরা লক্ষ্য করি যে তার তলপেট অত্যন্ত শক্ত। এতে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তার এক্স-রে করে নিশ্চিত হই যে তার রেকটামের ভেতরেও স্বর্ণ রয়েছে। পরে বিশেষ পদ্ধতিতে তার রেকটাম থেকে আমরা আরও ৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করি।

অভিযুক্ত জিয়া শুল্ক গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ সালে তিনি ১৯ বার দুবাইয়ে গেছেন। প্রতিবার গিলে ফেলে পেটে করে স্বর্ণ এনেছেন তিনি। তবে নিজেকে কেবলই একজন বাহক বলে দাবি করেছেন তিনি।

চট্টগ্রাম শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান আরও বলেন, আমরা জেনেছি যে দুবাইয়ের জনৈক রাকিব নামের এক ব্যক্তি তাকে এই স্বর্ণগুলো দিয়েছেন। এয়ারপোর্টের বাইরে জনৈক বাবুর কাছে হস্তান্তর করতো সে। প্রত্যেক চালানের জন্য ৭০ হাজার টাকা করে পান বলেও জানিয়েছেন আটককৃত ব্যক্তি।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের রাজস্ব কর্মকর্তা কে এম সালেম এ প্রসঙ্গে জানান, আমরা জিজ্ঞেস করলাম ‘তোমার কাছে স্বর্ণ আছে?’। সে বললো যে, না নেই। আমাদের সন্দেহ হলে এক্স-রে করি। তখন দেখা যায় যে তার রেকটামেও ৯টি স্বর্ণের বার রয়েছে। তার কাছ থেকে মোট ৩২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত জিয়ার বাড়ি হাটহাজারি ধলই ইউনিয়ের এনায়েতপুরে। মামলার পর পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে তাকে।

/এসএইচ



Exit mobile version