ঝিনাইদহে একটি ধর্ষণ মামলায় আসামীর রায় হয়েছিল যাবজ্জীবন। কিন্তু সেটা জালিয়াতি করে ৭ বছর সাজা দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আসামী। এই ঘটনায় আসামি কবির বিশ্বাস, দুই কারা কনস্টেবল ও তদবিরকারকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। খতিয়ে দেখতে বলেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীর সম্পৃক্ততার বিষয়টিও।
২০১৫ সালের ৮ আগস্ট ঝিনাইদহে কবির বিশ্বাস নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল। এই আসামী ২০১৮ সালে দুইবার হাইকোর্টে দুটি ভিন্ন বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন এবং ব্যর্থ হন।
এবার ১৫ই সেপ্টেম্বর বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের আদালতে আসেন সাজা স্থগিত ও জামিন আবেদন নিয়ে। তবে এবার রায়ের সার্টিফাইড কপিতে উল্লেখ করা হয় তার সাজা হয়েছে ৭ বছর এবং মামলার আসামী আরো তিনজন। এতে সন্দেহ হয় আদালতের।
নথি পর্যালোচনা করে আদালত রায় জালিয়াতির অপরাধে আসামী কবির বিশ্বাস, দুই কারা কন্সটেবল এবং এক তদবিরকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্টতা থাকলে আইনজীবীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে কবিরের আইনজীবীর দাবি রায়ের কপি জালিয়াতির বিষয়ে কিছুই তিনি জানতেন না। তার ক্লার্ক মামলাটি এনেছিল।