পরিবারের বড় মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়ে শ্যালিকাকেই বিয়ে করলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের সারণ জেলায়। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
পুলিশ জানায়, মাঁঝি থানা এলাকার ভভৌলি গ্রামের বাসিন্দা রামু বিনের বড় মেয়ে রিঙ্কু কুমারীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ছপরার রতনপুরার বাসিন্দা রাজেশ কুমারের। বিয়ের দিন ধার্য ছিল গত ২ মে। বিয়ের দিন বরযাত্রী নিয়ে ভভৌলি গ্রামে হাজির হয়েছিলেন রাজেশ। বর এবং বরপক্ষকে স্বাগত জানায় পাত্রীপক্ষ। নির্ধারিত সময়ে আত্মীয়স্বজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়। সমস্ত রীতিনীতি শেষ হওয়ার পর মঞ্চে হাজির হন পাত্র-পাত্রী। সেখানে মালাবদলও হয় রিঙ্কু-রাজেশের। শুভদৃষ্টিও সম্পন্ন হয় ভালোভাবে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। বিয়ের অন্তিম লগ্নে যখন সিঁদুরদানের পর্ব শুরু হতে যাবে, ঠিক সেই সময়েই রাজেশের ফোন বেজে ওঠে। ফোন রিসিভ করতেই তখন হুমকির সুর ভেসে আসে। বলা হয়, ‘এখনই যদি বিয়ে বন্ধ না করো, তাহলে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবো।’ এই হুমকির পরই ফোনটা কেটে যায়। পরে রাজেশ জানায়, তিনি এ বিয়ে করতে পারবেন না। বিয়ের শেষ লগ্নে এসে পাত্রের মুখে এমন কথা শুনে কনে এবং বর দু’পক্ষই স্তম্ভিত হয়ে যায়।
রাজেশ তার পরিবারকে জানান, রিঙ্কু নয়, তার বোন পুতুলকে বিয়ে করতে চান তিনি। রিঙ্কুর বোন পুতুলের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আত্মহত্যার হুমকিও দেন পুতুল। ভয় পেয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন রাজেশ। শেষমেশ দু’পক্ষকে বুঝিয়ে পুতুলের সঙ্গে রাজেশের বিয়ে দেয়া হয়।
ইউএইচ/