গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে জেলেদের জালে আটকা পড়েছে ৩১ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। ধরা পড়ার দুইদিন পর মাছটি ৭০০ টাকা কেজি দরে ২১ হাজার ৭০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। বিশাল আকৃতির এই মাছটি ক্রয়ের পর কেটে স্থানীয়ভাবে ১৮ জন ভাগ করে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ মোড়ে বাঘাইড় মাছটি বিক্রি করা হয়। ফুলছড়ি উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান ও আশিকুর ইসলাম মাছটি বিক্রির জন্য নিয়েন আসেন। দরদাম শেষে মাছটি ৭০০ টাকা কেজিতে ক্রয় করেন পৌর এলাকার বাসিন্দা মনজুর কাদির মুকুল গুরু ও ফিরোজ কবীর সুমন।
এর আগে, গত রোববার দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের খাটিমারি চরের অদুরে বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে। সচিন দাসসহ কয়েকজন জেলের জালে ধরা পড়া মাছটি প্রথমে স্থানীয় ব্যবাসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়।
এদিকে, বিশাল আকৃতির মাছটি দেখতে সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। এ সময় অনেকে মাছটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে দরাদাম করেন। আবার অনেকে ওই মাছের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেন।
কঞ্চিপাড়ার ভাসারপাড়ার জেলে সচিন দাস জানান, প্রতিদিনের মতো ছৈমুদ্দিন ও জয়নালসহ কয়েকজন মিলে ব্রহ্মপুত্র নদে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। দুপুরে হঠাৎ করে জালে আটকা পড়ে বিশাল আকৃতির বাঘাইড় মাছটি। ৩১ কেজি ওজনের মাছটি তাদের কাছে কিনে নেয় দুই ব্যবসায়ী। পরে তারা বিক্রির জন্য মাছটি পলাশবাড়ীতে নিয়ে যান।
মাছ বিক্রিতে ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান জানান, জেলেদের জালে ধরা পড়া মাছটি ক্রয়, বরফে রাখা ও পরিবহন খরচ হয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা। মাছটি ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে মাছটি স্থানীয়ভাবে বিক্রির চেষ্টা করা হয়। বেশি দামের আশায় মাছটি পলাশাবাড়ীতে নিয়ে আসি। প্রথমে ৮০০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রির দাম চাওয়া হয়। এসময় অনেক ক্রেতাই মাছটির বিভিন্ন দরদাম করেন। পরে মাছটি পৌর এলাকার মুকুল মিয়া ও ফিরোজ কবীর সুমন মিয়াসহ কয়েকজন মিলে ২১ হাজার ৭০০ টাকায় কিনে নেন।
বিশাল আকৃতির এই মাছ ক্রয়কারীদের মধ্যে ফিরোজ কবীর সুমন বলেন, মাছটি দেখেই কেনার আগ্রহ হয়। কিন্তু একাই মাছটি কেনার মতো তার সামর্থ নেই। এমনকি এই মাছটি মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের কেনা অসম্ভব।পরে কয়েকজনের সাথে আলোচনা করে মাছটি ২১ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করি। পরে মাছটি কেটে ওজন করে সবাই ভাগ করে নেই।
অপর ক্রেতা মনজুর কাদির মুকুল জানান, আগের মতো বাজারে বোয়াল, আইড় ও বাঘাইড় মাছ চোখে পড়ে না। ৩১ কেজি ওজনের মাছটি ক্রয় করে আমরা খুশি। ৭০০ টাকা কেজিতে ক্রয় করা মাছটি আমরা ১৮ মিলে কেটে ভাগ করে নিয়েছি।
/এনএএস