Site icon Amra Moulvibazari

পরীমনিকে জানতে দেখতে হবে তার সেরা সিনেমাটি

পরীমনিকে জানতে দেখতে হবে তার সেরা সিনেমাটি


পরীমনির একটিও জনপ্রিয় সিনেমা নেই। তবে তার অভিনয়-প্রতিভা অসাধারণ। সেটাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে তার কাছ থেকে দারুণ কিছু কাজ পেতে পারেন দর্শক। বেশ কিছু সিনেমায় তিনি অভিনয় করলেও দর্শক সেসব মনে রাখেনি। বরং বেপরোয়া জীবন তাকে এতকাল আলোচনায় রেখেছিল। নায়িকা হিসেবে যে সিনেমাগুলো তিনি করেছেন, সেগুলোর মধ্যেও রয়েছে সেরা কাজের আভাস। পরীমনিকে জানতে দেখতে হবে তার সেরা সেই সিনেমাটি।

২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় পরীমনির। এরপর ‘রক্ত’, ‘স্ফুলিঙ্গ’, ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘গুণীন’, ‘প্রীতিলতা’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ‘মা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন পরীমনি। সেগুলোর মধ্যে সেরা সিনেমা কোনটি? অভিনেত্রীর ৩২তম জন্মদিনে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যাক সেই সিনেমার কথা।

২০১৮ সালে মুক্তি পায় গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত সিনেমা ‘স্বপ্নজাল’। এতে শুভ্রা চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি। ছবিতে দর্শক পর্দায় যাকে দেখবেন, তিনি পরীমনি নন, তিনি সেখানে অভিনয়ও করেননি। বরং প্রকৃত অর্থে তিনি হয়ে উঠেছেন শুভ্রা।

হিরণের মেয়ে শুভ্রা। সে ভালোবাসে পাড়ার মুসলিম পরিবারের বন্ধু অপুকে। হিন্দু-মুসলিম এই দুই তরুণ-তরুণীর ভালোবাসার গল্প অন্য আরেকটি চিরকালীন মহাকাব্যিক আখ্যানের মতো বিস্তার লাভ করে। পরিস্থিতির চাপে শুভ্রাকে তবু অপুর হাত ছেড়ে ভারতে চলে যেতে হয়। দুজন দুজনার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, কেউ কাউকে ভুলবে না। শুভ্রাদের বসতবাড়িসহ সব সম্পত্তি আয়নাল এবং তার লোকেরা ভোগ করতে থাকে। অপু সেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পায়। শুভ্রা কলকাতায় মাসির বাড়িতে গিয়ে দেখে সেখানে তার বাবা যাননি।

নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা দেশ ছেড়ে যায়, কিন্তু ফেরে না। পর্দা বা গল্পে তো সেটাই দেখি আমরা। কিন্তু এই সিনেমায় দেখা গেল ভিন্ন এক ঘটনা। সংখ্যালঘুর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, অন্যায়কারীর উপযুক্ত শাস্তিও হবে। মুসলমানের ছেলে অপু হিন্দু হিরণ সাহা হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেয়। কলকাতা থেকে নিয়ে আসে শুভ্রাকে। দুজন মিলে সাক্ষী যোগাড় করে উকিলের সাহায্য নিয়ে ধরিয়ে দেয় আয়নালকে। শুভ্রাদের হারানো সম্পত্তি উদ্ধার করে। শুভ্রার পরিবার দেশে ফেরে। কিন্তু অপু-শুভ্রার ধর্মের বিভাজন ঘোচে না। পরিণতি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক হয়ে ওঠে। ভালোবাসার মানুষের পাশে এতদূর লড়াই করে এসেও অপুকে হেরে যেতে হয়। শুভ্রাকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়।

নির্মাণ হিসেবে চমৎকার, নির্মল ছবিটি। সেখানে এক অন্যরকম ব্যাঞ্জনা যোগ করেছেন পরীমনি। দেখানো হয়েছে বাংলার মাঠ-ঘাট-নদী, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ। নদী, ইলিশ, জল-তরঙ্গ, পাখির ডাক, মাঝিমাল্লা, গাছের বুকে প্রেমিক-প্রেমিকার নাম, নৌকায় ভেসে প্রেমিকার জন্মদিন উদ্যাপন, শহরের ট্রাম, মোটরবাইক, বৃষ্টিতে পরীমনির নাচ – সবমিলিয়ে ছবিটি চোখ ও মনকে পরম এক প্রশান্তি দেবে।

শিগগিরই ভারতে অভিষেক হতে যাচ্ছে পরীমনির। ‘ফেলুবক্সী’ নামে এক ছবিতে দেখা যাবে তাকে। এ ছাড়া পরীমনি অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রঙ্গিলা কিতাব’ অবমুক্ত হচ্ছে আগামী মাসে। ‘প্রীতিলতা’ ও ‘ডোডোর গল্প’ নামে দুটি সিনেমায় যুক্ত হয়ে আছেন এই অভিনেত্রী। সেগুলোর কাজ এখনও শেষ হয়নি।

আরএমডি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version