তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে জমে থাকা গ্যাসই কাল হলো নারায়ণগঞ্জে। সদর উপজেলার বাইতুস সালাত মসজিদটির ভেতরে খোঁজ মিলেছে গ্যাস লাইনের অসংখ্য লিকেজের। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে অনেকটাই পরিষ্কার বিস্ফোরণের কারণ। শুধুমাত্র গাফিলতির কারণেই এতো বড় দুর্ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জের সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাইতুস সালাৎ মসজিদটি এখন বিধ্বস্ত। পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। আগুনে পুড়ে গেছে জায়নামাজ, মেঝেতে পড়ে আছে তসবিহ। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে হতভাগ্য মুসল্লিদের নানা সামগ্রী।
শুক্রবার এশার নামাজ পড়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ত’ল্লা এলাকার বাইতুস সালাত মসজিদের সবকটি এসি। মুহুর্তেই আগুনে পুড়ে যায় সবকিছু। পুড়ে যান মসজিদের ভেতরে থাকা অন্তত ৪০ জন মুসল্লি।
বিস্ফোরণের কয়েক ঘন্টা পরও বিধ্বস্ত মসজিদের ফ্লোর থেকে গ্যাসের বুদবুদ বের হতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকদিন ধরেই এই মসজিদের নিচে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হওয়ার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করলেও তিতাস কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয় নি বলে জানান স্থানীয়রা।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিস, সিআইডি ও প্রশাসনের লোকজন। যান্ত্রিক পরীক্ষার পর ফায়ার সার্ভিস জানায় মসজিদটি ছিলো মিথেন গ্যাসে পরিপূর্ণ। এতোবড় দুর্ঘটনার পরেও টনক নড়েনি তিতাসের। রাতে দু-তিঞ্জন শ্রমিক পাঠানোর মধ্য দিয়েই দায় সাড়েন তারা। সকাল পর্যন্ত লিকেজ সাড়াতে ব্যর্থ হয় সংস্থাটি।
অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে মসজিদটিতে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদস্যরা।