ছবি : সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞদের মতে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান বাংলাদেশ। মাঝে মাঝেই ছোট-বড় ভূকম্পন অনুভূত হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ (৫ মে) সকাল ছয়টার দিকেও রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। এটিকে সরাসরি নির্ণয় করা যায় না। তবে এ সংক্রান্ত দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা জরুরি। এছাড়া ব্যক্তিপর্যায়েও কিছু সতর্কতা ও করণীয় রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ভূমিকম্পের সময় করণীয় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। নিচে তা তুলে ধরা হলো:
ভূমিকম্প অনুভূত হলে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না।
ভূমিকম্পের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে।
বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিতে হবে।
গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়তে হবে।
ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করা যাবে না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে, যাতে ধুলাবালু শ্বাসনালিতে না ঢোকে।
একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।
ওপর তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিতে হবে।
গাড়িতে থাকলে পদচারী–সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামিয়ে রাখতে হবে। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকতে হবে।
ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখতে হবে।
বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করা জরুরি।
এএআর/