এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক লাখ দুই হাজার ৯৭৫ জন শিক্ষার্থী উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। কেউ কোনো বিষয়ের একটি পত্র, কেউ দুইপত্রই পুনরায় নিরীক্ষণ চেয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়েছে ইংরেজি বিষয়ে। এরপরই রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি)।
ঢাকা বোর্ড সূত্র জানায়, এক লাখ দুই হাজার ৯৭৫ জন শিক্ষার্থী এক লাখ ৮০ হাজার ৬০টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। গত ১৬ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে তারা এ আবেদন করেন।
পুনঃনিরীক্ষণ আবেদনে বিষয়ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পুনরায় নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে ৩৮ হাজার ৬২৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এরপর রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি); এ বিষয়ে ২৩ হাজার ৫০৬টি আবেদন পড়েছে। তাছাড়া বাংলায় ২২ হাজার ৬৫টি, পদার্থ বিজ্ঞানে ১০ হাজার ৬৪০টি, হিসাববিজ্ঞানে ৪ হাজার ১৩১টি এবং যুক্তিবিদ্যার ৪ হাজার ৬টি আবেদন পড়েছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, আবেদন করা শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্রগুলো পুনঃনিরীক্ষণ করে ফলে পরিবর্তন এলে তা নতুন করে প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই সাধারণত পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের নিষ্পত্তি করতে হয়। সে হিসেবে আগামী ১৩ বা ১৪ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণ নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, পুনঃনিরীক্ষণে একজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র নতুন করে আবার মূল্যায়ন করা হয় না। আবেদন করা উত্তরপত্রের চারটি বিষয় দেখা হয়। সেগুলো হলো-উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে তোলা হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এ চারটি জায়গায় কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।
গত ১৫ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম