হাতেম আলী। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তার গন্তব্য সৈয়দপুর। কিন্তু অনলাইনে টিকিট কাটতে না পেরে সশরীরে এসেছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে।
হাতেমের মতো অনেকেই আছেন, যারা টিকিট কাটতে পারেননি, তবুও একটা টিকিটের ব্যবস্থা হবে- এমন আশায় স্টেশনে ভিড় করেন। ঈদযাত্রায় ঘরে ফিরতে তাই কারো কারো ভরসা ‘স্ট্যান্ডিং টিকিট’।
চলতি বছর ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ স্লোগানে পুরোটাই অনলাইনে টিকিট বিক্রির আয়োজন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট যাত্রীরা। বড় ধরনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। কিন্তু তবুও কিছু কিছু ট্রেন ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম অভিমুখে মহানগর প্রভাতি বিলম্ব করেছে প্রায় ২ ঘণ্টা। এতে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে স্টেশনে আসা যাত্রীদের টিকিট ও এনআইডি প্রদর্শন ছাড়া প্ল্যাটফর্মে প্রবেশে ৩ স্তরের চেকিং থাকায় অতটা ভিড়ও নেই। নির্ঝঞ্ঝাটভাবে রেলে ঈদযাত্রার সুযোগ পাচ্ছেন ঘরমুখো যাত্রীরা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী ঈদে রেলপথ ব্যবহার করে ভ্রমণ করছেন। ঈদ উপলক্ষ্যে তিনটি স্পেশাল ট্রেনও চলাচল শুরু করছে। ট্রেনে বিনা টিকিটে বা বিপজ্জনক ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এএআর/